চাকরিজীবী বনাম উদ্যোক্তা
- ইমাম হোসাইন সাদিক
শুরুতেই বলে নেওয়া ভালো যে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আপনি চাকরি, ব্যবসা বা অন্য যা কিছুই করুন না কেন, আপনার অবশ্যই উদ্যোক্তা গুণাবলি থাকতে হবে। উদ্যোক্তা গুণাবলি কী? চুলন দেখে নেওয়া যাক:
১. নেতৃত্ব
২. ভিন্নভাবে চিন্তা করার সক্ষমতা
৩. আত্মবিশ্বাস
৪. সৃজনশীলতা
৫. দক্ষতা
৬. প্যাশন
৭. সম্পর্ক উন্নয়ন
৮. ঝুঁকি গ্রহণের সক্ষমতা
ছবিটি দেখেই নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এখন আর চাকরি বনাম উদ্যোক্তা বলে কোনো শব্দ নেই। এখন আলোচনা চলছে উদ্যোক্তা বনাম স্ব-উদ্যোক্তা নিয়ে।
তাহলে স্ব-উদ্যোক্তা কী? একজন মানুষের মধ্যে যখন উদ্যোক্তার সকল গুণাবলী থাকে কিন্তু তিনি চাকরিজীবী—এ ধরনের ব্যতিক্রমী মানুষদেরকেই বলা হয় স্ব-উদ্যোক্তা। প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, চাকরিজীবী আর উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য কোথায়। প্রধান পার্থক্যটা মানসিকতায়। উদ্যোক্তারা সর্বদা ঝুঁকি গ্রহণ করেন। অপরদিকে চাকরিজীবীরা সহসা ঝুঁকি নিতে চান না।
এছাড়াও কিছু ইমোশনাল ব্যাপার থাকে, কিছু মানুষ ইমোশনালি কোম্পানির সাথে সংযুক্ত থাকে। এটাও কিন্তু কোম্পানির সফল্যের গোপন রহস্য যে, কোম্পানি তার কর্মীদের ইমোশনালি এটাচ করে ফেলে। এতে করে কম্পানি কর্মীদের থেকে ভালো আউটপুট পায়। কর্মীরা মনোযোগ দিয়ে কাজ করে।
কেন স্ব-উদ্যোক্তা হওয়া উচিত?
চাকরির বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্ব-উদ্যোক্তা হতে হবে। একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যাক। এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠানেই কিছু কর্মী ছাটাই করতে হচ্ছে। তাহলে তারা কাদের ছাটাই করছে? আর কাদের রাখছে? সহজ হিসাব যাদের মধ্যে স্ব-উদ্যোক্তা গুণাবলি আছে, যারা তাদের কাজের দক্ষতা দিয়ে এবং ভিন্ন ধরনের চিন্তা দিয়ে, সক্ষমতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, প্রতিষ্ঠানে তার প্রয়োজনীয়তা আছে, তারাই চাকরির বাজারে এখনো টিকে আছে।
আপনি কি জানেন আপনার কোম্পানিতে স্ব-উদ্যোক্তা কারা? না জানলে আজই খুজে বের করুন, তারা আপনার প্রতিষ্ঠানকে ৮০% পর্যন্ত গ্রোথ এনে দিতে পারে।
তবে চাকরিজীবী হয়ে শেখার অনেক কিছু আছে। বরং আমি এটা বলতে চাই, আপনি নিজে কিছু করার আগে অবশ্যই চাকরি করে দেখতে পারেন, অনেক কিছু শিখতে পারবেন, যেটা পরবর্তীতে আপনার উদ্যোক্তাজীবনেসাহায্য করবে।
ইমাম হোসাইন সাদিক : শিক্ষার্থী, ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি