গতিহীন ইন্টারনেট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

গতিহীন ইন্টারনেট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

  • রাসেল মাহমুদ, কুমিল্লা

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয় তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগ ওয়াই-ফাই। ওয়াই-ফাই সংযোগ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাস হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত। কিন্তু এই প্রাণচাঞ্চল্য খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। বছর না ঘুরতেই ক্যাম্পাসের গতিহীন ওয়াই-ফাই থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সূত্র জানায়, উদ্বোধনের সময় ১০এমবিপিএস গতি সম্পন্ন ওয়াই-ফাই চালু হলেও খুব দ্রুতই ২০এমবিপিএস করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলী আশরাফ। এক বছর পর ৫এমবিপিএস বৃদ্ধি করা হলেও ব্যবহারকারীর তুলনায় তা অপ্রতুল। আবার ১১টি রাউটারের মধ্যে সচল রয়েছে ৬টি রাউটার। আর বাকি ৫টি নষ্ট। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হল ওয়াই-ফাই জোনের আওতায় না থাকায় অসন্তোষও রয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসির আহমেদ নাবিল বলেন, ‘আমাদের ওয়াই-ফাইয়ের যে সেবা রয়েছে তা খুবই নিম্নমানের। ইন্টারনেটের যে গতি আমাদের দরকার তা এখানে নেই। বই থেকে আমরা মাত্র ১৭-১৮% তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। তাই ইন্টারনেট তথা ওয়াইফাই সেবার বিকল্প নেই। এ ছাড়া আবাসিক হলগুলোকে ওয়াই-ফাই জোনের আওতায় আনা খুবই জরুরী।’

তবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পুরো ক্যাম্পাসে ৫০-৬০টি রাউটার স্থাপন করা হবে বলে জানান, ওয়াই-ফাই ও ইন্টারনেট সম্প্রসারণ কমিটির আহ্বায়ক ও ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশ টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি দুলাল চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, ‘অতিসম্প্রতি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ‘ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক’ নামে একটি প্রকল্প পেয়েছি। এটি এক বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে ৫০-৬০ টি ওয়াইফাই জোন থাকবে। আমরা এই প্রকল্পের অধীনে কাজ করছি। আশা করি অতি অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যা গুলো সমাধান করতে পারব এবং শিক্ষার্থীরা ভাল সুযোগ সুবিধা পাবেন। তখন গতি থাকবে ১ জিবি পিএস। সাময়িক সময়ের জন্য শিক্ষার্থীরা একটু অসুবিধা ভোগ করলেও এক বছরের মধ্যে ইন্টারনেটের সার্বিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে।’favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment