দেশে কোটিপতি ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন
নিউজ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাবধারী ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
সরকারি দলের সোহরাব উদ্দিনের এ-সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব দিয়ে বলেন, গত পাঁচ বছরে কোটি টাকার হিসাবধারী বেড়েছে ৩৬ হাজার ১১৫ জন। ২০১১ সালে কোটি টাকার হিসাবধারী ছিলেন ৭৮ হাজার ১৫০ জন, ২০১২ সালে ৯০ হাজার ৬৫৫, ২০১৩ সালে ৯৮ হাজার ৫৯১ এবং ২০১৪ সালে ছিলেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৭৪ জন।
প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে চারটার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে বেসিক ব্যাংক। এ ছাড়া কৃষি ব্যাংক ১৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ২৫ কোটি ৬২ লাখ ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ৪৬ দশমিক ৮৫ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। অপরদিকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা লাভ করেছে ইসলামী ব্যাংক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১৫২ কোটি ৬ লাখ টাকা লাভ করেছে জনতা ব্যাংক।
জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি পর্যায়ে ২২ হাজার ১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২০ হাজার ৮৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ২ হাজার ৯৯৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ব্যক্তিপর্যায়ে করদাতার সংখ্যা ১৭ লাখ ৫১ হাজার ৫০৩ জন। ব্যক্তিপর্যায়ে চলতি বছরের জুন নাগাদ ৩ লাখের মতো নতুন করদাতা শনাক্ত করা সম্ভব হবে। সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ছিল ১৫০১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১৫৯২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।