সম্মানসূচক ডি. লিট পেলেন ড. মো. সবুর খান
- সংবাদ ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি (ডি. লিট) প্রদান করেছে ভারতের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় কেআইআইটি (কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইনডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি)। ডিজিটাল সমাজ বিনির্মাণ, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবণতা ছড়িয়ে দেয়া ও ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্সের (ডিআইএসএস) মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন ও শিক্ষায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এ ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
গত ১০ নভেম্বর কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অধ্যাপক বেদ প্রকাশ এই সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লেটার্স’ ডিগ্রি ড. মো. সবুর খানের হাতে তুলে দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উড়িষ্যার গভর্নর অধ্যাপক গণেষি লাল, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব আর্ট অ্যান্ড কালচারের (ডব্লিউএএসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আইপিপিএনডব্লিউ-এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. এর্নেস্তো কাহান, কেআইঅাইটির উপাচার্য ঋষিকেষা মোহান্তি, প্রো-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আচার্য্য, রেজিস্ট্রার সাস্মিতা সামান্তা, ইনস্টিটিউট অব বায়োরিসোর্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্টের (আইবিএসডি) পরিচালক দ্বীনবন্ধু সাহু, ইংল্যান্ডের হাউস অব লর্ডসের সদস্য উষা কুমারী প্রসার, সুইজারল্যান্ডের সংসদ সদস্য নিকোলাস স্যামুয়েল গুগার, অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা প্রভূ গৌর গোপাল দাশ, প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক, পরিচালক ও অভিনেতা শ্রী কবির বেদীসহ কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ড. মো. সবুর খান ২৭ হাজার কেআইআইটির শিক্ষার্থী এবং ২৭ হাজার কেআইএসএস-এর শিক্ষার্থীর সামনে অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য প্রদান করেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কেআইআইটির প্রতিষ্ঠাতা ড. অচ্চ্যুত সামন্ত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
যেভাবে শুরু: প্রায় এক বছর আগে জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. মো. সবুর খানকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করে একটি দাপ্তরিক চিঠি প্রদান করা হয়। চিঠিতে বলা হয়, ১০ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ড. মো. সবুর খানকে সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
বিমানবন্দরেই উষ্ণ অভ্যর্থনা: ভারতের ভূবনেশ্বর বিমানবন্দরে পা রাখার পরই ড. মো. সবুর খান কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় অভিষিক্ত হন। এমন অভ্যর্থনা নিঃসন্দেহে সম্মানজনক। এরপর ড. মো. সবুর খানকে নিয়ে ভূবনেশ্বরে কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেয় কেআইআইটির অভ্যর্থনাকারী দল।
পথে পথে বিলবোর্ড: উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে যাওয়ার পথে দেখা যায় পথের দু’পাশে ড. মো. সবুর খানের ছবি সম্বলিত বিশাল বিশাল বিলবোর্ড। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ডগুলো সাজিয়েছে কেআইআইটি কর্তৃপক্ষ।
সমাবর্তনে, সহস্র প্রাণের সামনে: সুবিস্তৃত ক্যাম্পাসে সুবিশাল মঞ্চ। কেআইআইটির শিক্ষার্থী উপস্থিত সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে। তাদের সামনে অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য দেন ড. মো. সবুর খান। তিনি বলেন, তোমরা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান—কারণ তোমরা একজন অচ্চ্যুত সামন্তকে পেয়েছ। যদিও অসুস্থতার কারণে তিনি এখন এই মঞ্চে উপস্থিত নেই। তবে আমরা বিশ্বাস করি তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাছাড়া এই অনুষ্ঠান লাইভ দেখানো হচ্ছে। তিনি নিশ্চয় দেখছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, তোমরা যারা আজ কেআইআইটি থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে বের হচ্ছ, তোমাদের নিশ্চয় গর্ব করা উচিত এজন্য যে ড. অচ্চ্যুত সামন্তকে একজন লিডার হিসেবে পেয়েছ। কারণ তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি ভারতে তো বটেই সারা পৃথিবীতেই একজন অনুকরণীয় আদর্শ। আজ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে কেআইআইটি ও ড. অচ্চ্যুত সামন্তকে জানতে। তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছেন।
ড. অচ্চ্যুত সামন্তের মতো উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ড. অচ্চ্যুত সামন্ত একজন বিশ্ব বরেণ্য শিক্ষা উদ্যোক্তা। তোমরা তাঁর মতো উদ্যোক্তা হয়ে ভারতকে বদলে দাও।
উড়িষ্যার গভর্নর গণেষি লাল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমার এমন এক বিশ্বের মুখোমুখি হতে যাচ্ছ, যে বিশ্ব ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, ভাষা ইত্যাদিতে বিভক্ত। তোমাদের সবচেয়ে বড় চ্যঅলেঞ্জ হচ্ছে, এই বিভক্তির দেয়াল ভেঙে ফেলা।’
অধ্যাপক ড. কাহান বলেন, আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি, কিন্তু কেআইআইটি এবং কেআইএসএস-এর মতো প্রতিষ্ঠান একটিও দেখিনি। প্রতিষ্ঠান দুটি সারা বিশ্বের কাছে দৃষ্ঠান্তে পরিণত হয়েছে।
কেআইএসএস পরিদর্শনে: সাতাশ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত আদিবাসী শিশুদের নিয়ে ড. অচ্চ্যুত সামন্ত গড়ে তুলেছেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স (কেআইএসএস)। এই শিশুদের পুনর্বাসনসহ শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এখানে শিশুদেরকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে তারা কর্মদক্ষ মানুষে পরিণত হয়। বেকার থাকে না কেউ। সম্প্রতি কেআইএসএস বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পেয়েছে।
এই অনন্য সাধারণ বিদ্যাশ্রম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ড. মো. সবুর খান। সাতাশ হাজার শিক্ষার্থীর সামনে তিনি অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য দেন। সময় কাটান তাদের সঙ্গে। ঘুরে ঘুরে দেখেন এর ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম। এখানে সাতাশ হাজার শিক্ষার্থীর খাবার একবারে রান্না হয়। শিক্ষার্থীরা খাবারও খান একসঙ্গে।
বাংলাদেশে ডিআইএসএস: কেআইএসএস-এর কার্যক্রম দেখে ভীষণ অনুপ্রাণিত হন ড. মো. সবুর খান। তিনি বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের জন্য কেআইএসএস-এর মতো একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান। তিনি তাঁর ইচ্ছার কথা ড. অচ্চ্যুত সামন্তের কাছে প্রকাশ করেন। ড. অচ্চ্যুত সামন্ত তাঁকে যাবতীয় সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। এরপর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বেশ ক’বার কেআইআইটি ও ডিআইএসএস পরিদর্শনে যান। ড. অচ্চ্যুত সামন্তও বেশ ক’বার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আসেন। ফলে ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ও ড. অচ্চ্যুত সামন্তের মধ্যে একটি আত্মিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে কেআইএসএস-এর সহযোগিতায় ঢাকার আশুলিয়ার দত্তপাড়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের পাশে ড. মো. সবুর খান ইতিমধ্যে গড়ে তুলেছেন ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স (ডিআইএসএস)। এবছরের জানুয়ারিতে ডিআইএসএস-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে গেছেন ড. অচ্চ্যুত সামন্ত। এরপর জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে ডিআইএসএস। ৫-১০ বছর বয়সের অসহায় নিপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত ছিন্নমূল শিশুদের (ছেলে এবং মেয়ে) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান ও উন্নত জীবন গড়ে তোলাই ডিআইএসএস-এর লক্ষ্য। এখানে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ড্যাফোডিল আইটি পার্ক। ক্রমান্বয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ঘিরে এখানে তৈরি হবে ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটি।
ডিআইএসএস বাংলাদেশের দুস্থ শিশুদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র চালু করতে যাচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সভাকক্ষে নীতিনির্ধারণী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিআইএসএস-এর অধীনে বাংলাদেশের দুস্থ শিশুদের জন্য সহায়তা কেন্দ্র চালু করার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১০০ দুস্থ শিশুকে সহায়তা কেন্দ্রের আওতায় আনা হবে এবং ক্রমান্বয়ে এ সংখ্যা বাড়ানো হবে। শুরুতে ডিআইএসএসকে নিবিড় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবে ভারতের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স (কেআইএসএস)। ডিআইএসএস মূলত এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে উদ্যোক্তা মানসিকতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করবে। ডিআইএএসএস আশা করছে, এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা একদিন সফল উদ্যোক্তা কিংবা সফল নেতা হিসেবে সমাজে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ শুরু করেছে ডিআইএসএস। গত মে মাসে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পাঁচ শতাধিক ছিন্নমূল পথশিশুদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে ডিআইএসএস। ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব আর্ট অব গিভিং’ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭১ মিলনায়তনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়ে আসা এসব ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে শিশুদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।
কেআইএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. অচ্ছুত সামন্তের উদ্যোগে ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব আর্ট অব গিভিং’ পালন করা হয়। এ বছর বিশ্বের ৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করে ডিআইএসএস। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কমলাপুর, খিলগাঁও, সদরঘাট ও ধানমন্ডি লেক এলাকা থেকে পাঁচ শতাধিক ছিন্নমূল শিশুদের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে নিয়ে আসেন ডিআইএসএস-এর স্বেচ্ছাসেবকরা। এরপর তাদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের জীবিকা প্রকল্পের মাধ্যমে ড. মো. সবুর খান প্রায় ২ হাজার অস্বচ্ছল পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। এরফলে জীবিকা প্রকল্পাধীন পাঁচ শতাধিক পরিবারে সুদিন ফিরেছে। তারা এখন আর্থিকভাবে সাবলম্বী। জীবিকা প্রকল্প থেকে শূন্য সুদে ঋণ নিয়ে কেউ ছাগল কিনেছেন, কেউ গরু কিনেছেন, কেউ মাছ চাষ করছেন। এভাবেই নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন অনেক অসচ্ছল মানুষ।
তিনি ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসংখ্য অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক বৃত্তি দিয়ে আসছেন। ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে অনেকেই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, ডাক্তার ও আইনজীবী হয়েছেন।
ড. মো. সবুর খান একটি স্বনির্ভর প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। উদ্যোক্তা তৈরির উদ্দেশে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিজনেস ইনকিউবেটর, স্টার্টআপ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগ ইত্যদি। একজন অতিথি অধ্যাপক হিসেবে তিনি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও কিরগিজস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেন।
ইতিমধ্যে তিনি এক ডজনেরও বেশি ফেলোশিপ ও সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রিত হয়েছেন ড. মো. সবুর খান।
একজন রিসোর্স পার্সন হিসেবে ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে ড. মো. সবুর খান দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার ও টক শোতে অংশগ্রহণ করে আসছেন। উদ্যোক্তা উন্নয়নে তিনি দুই ভাষায় ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন নির্দেশিকা’, ‘আর্ট অব ইফেক্টিভ লিভিং’ এবং ‘এ জার্নি টুওয়ার্ডস এন্ট্রাপ্রেনারশিপ’ নামে বই লিখেছেন।
‘আর্ট অব লিভিং’ এবং ‘চেঞ্জ টুগেদার’ ধারনার পথিকৃৎ উদ্ভাবক হিসেবে ড. মো. সবুর খান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কফম্যান ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (জিইএন), চাইল্ড অ্যান্ড ইয়ুথ ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনালের (সিওয়াইএফআই) সঙ্গে সম্পৃক্ততা তাঁকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে খ্যাতি এনে দিয়েছে। আর অতিসম্প্রতি কেআইআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি.লিট ডিগ্রি তাঁর মর্যাদার মুকুটে আরো একটি পালক হিসেবে যুক্ত হলো।