ফাইনালের টিকেট পেল বরিশাল
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিস গেইলকে ছাড়াই খেলতে নেমে ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেল বরিশাল বুলস। জয়ের জন্য রংপুর রাইডার্সের ছুড়ে দেওয়া ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য সামনে নিয়ে খেলতে নেমে ১০ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় বরিশাল। তবে সাব্বির রহমান ও শাহরিয়ার নাফীসের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৫ উইকেটের অসাধারণ এক জয় দিয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেল বরিশাল।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গী মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল বুলস। মঙ্গলবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে বিপিএলের তৃতীয় আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ও বরিশাল। গতকাল (১৩ ডিসেম্বর) প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। সাব্বির ও নাফীসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বুলস। কেভন কুপার ৩ বলে ১০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন।
বরিশালকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিতে সাব্বির ৪৯ বলে ৭৯ ও শাহরিয়ার নাফীস ৪০ বলে করেন ৪৪ রান।
রংপুরের হয়ে সাকিব, থিসারা পেরেরা ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট লাভ করেন। আর সব বোলাররা সাব্বির ও নাসিরের বেধড়ক মারের শিকার হন। জয়ের জন্য ১৬১ রানের বড় লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ১০ রান তুলতেই দুই ওপেনার রনি তালুকদার (২) ও সেকুজি প্রসন্নকে (৭) হারিয়ে ম্যাচ থেকে নিয়ন্ত্রণ হারায় বরিশাল বুলস। রনিকে ক্যাচ আউট করেন আরাফাত সানি আর প্রসন্নকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। তবে এরপর অসাধারণ এক জুটি গড়ে তোলেন নাফীস ও সাব্বির। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজনের মধ্যকার ৮৩ বলে ১২৪ রানের মহাকাব্যিক এই জুটির ওপর ভর করে জয়ের পথ তৈরি হয় বরিশালের। দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় নাফীস যখন দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তখন জয়ের জন্য বরিশালের ২২ বলে ২৭ রান দরকার ছিল। ১৭তম ওভারে সাকিব মাত্র ৫ রান দিলে শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের ২৪ রান দরকার হয়।
একটু পর সাব্বির ও মাহমুদুল্লাহ ফিরে গেলে পরাজয়ের শঙ্কা ভিড় করে বরিশাল শিবিরে। জয়ের জন্য তখন বরিশালের সমীকরণ ছিল ৮ বলে ১৪ রান। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন রায়াদ এমরিত। পরের বল ডট হলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার হয় বরিশালের। থিসারা পেরেরার করা ২০তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে জয়ের ব্যবধানকে ৫ বলে ৪ রানে নামিয়ে আনেন কেভন কুপার। পরের বল বেকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে জয়ের সমীকরণ আরো সহজ করে তোলেন কুপার। আর ২০তম ওভারের তৃতীয় বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।