মহামারি থেকে বাঁচতে সমুদ্রে বাড়ি করুন!
- বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক
মানবসম্প্রদায় বহুকাল ধরেই ভেবে আসছিল যে কীভাবে সমুদ্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করার উপায় বের করা যায়। ধারনা করা হচ্ছে, এখন বিশ্বজুড়ে চলমান এই মহামারীর সময়েই উপরোক্ত ধারনার বাস্তবায়ন সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোকে অবস্থিত সিস্টেস্টিং ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জো কুইর্ক বলেছেন, মহামারীর এই সময়ে সবচেয়ে নিরাপদে থাকার জায়গা হচ্ছে সমুদ্রউপকূলবর্তী স্থান। সমুদ্রের উঁচু জায়গায় কিংবা দূর দূরান্তের দ্বীপগুলিতে বাসস্থান তৈরি করার এখনই উপযুক্ত সময়।
সমুদ্রবিজ্ঞানীরা অবশ্য বরাবরই বলে আসছিলেন, সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও নৈতিক মূল্যবোধের মাধ্যমে সমুদ্র-প্রকৌশলের চ্যালেঞ্জগুলো অচিরেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন তাঁরা। আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে বসতি স্থাপনের কথা বলেছিলেন ফেসবুক বোর্ডের সদস্য পিটার থিল। এখন বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী যখন থাবা গেড়ে বসেছে তখন পিটারের ভাবনাকে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করেছেন সমুদ্রবিজ্ঞানীরা।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে আলোচনা করতে পারছেন না বটে, তবে তারা অনলাইন মিটিং করছেন। তারা এখন ভাবছেন, সমুদ্রে বসতি স্থাপন করলে সেখানকার খাদ্যব্যবস্থা কী হবে। মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে।
অ্যাডাম জোয়েল নামের একজন গণমাধ্যম উপস্থাপন বলেছেন, আমরা যদি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সমুদ্রের উপরিতলে কিংবা পানির নিচে বাস করতে পারতাম তাহলে করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিন্তা করতে হতো না।
অপরদিকে সিঙ্গাপুরের একজন আইনজীবী, যিনি পেশায় অ্যাডভোকেট, তিনি বলেছেন, দক্ষিণপূর্ব এশীয় নগররাজ্যে যেসসব অভিভাসী শ্রমিক রয়েছে তাদের জন্য কম ভিড়ের আবাসন দরকার। তারা এক বাসাতে অনেকে বসবাস করে। এই মহামারীর সময়ে এমনভাবে বাস করাটা বিপজ্জনক। এ অবস্থায় সমুদ্রে ভাসমান সম্প্রদায় তৈরি করা একটি ভালো সমাধান হতে পারে।
একই ধরনের পরামর্শ দিয়ে স্ট্রেইট টাইমস পত্রিকায় ‘সোসাইটি অব ফ্লোটিং সলিউশন’ নামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন লিম সুন।
অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি কোভিড মহামারির হাত থেকে বাঁচার জন্য মঙ্গলগ্রহে পালিয়ে যেতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে মঙ্গল বা অন্য কোনো গ্রহের চেয়ে সমুদ্রের বুকে স্থায়ী বসবাস একটি ভালো সমাধান বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: এনবিসি নিউজ, যুক্তরাষ্ট্র
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফ ইসলাম