ডিজিটাল উদ্ভাবনকে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্যোগ
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
দেশের তরুণদের উদ্ভাবনীমূলক ডিজিটাল উদ্যোগকে বাণিজ্যিক রূপ দিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বেসিস এবং বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি বিভাগে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এ সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও নীতিনির্ধারকদের উপস্থিতিতে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম ও ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ উন্নয়নে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ প্রোগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টনি ইলিয়াজ ও ব্রেট ডিকস্ট্রেইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুশান্ত কুমার সাহা, ফেনক্স ভেঞ্চার ক্যাপিটালের জেনারেল পার্টনার ও বেসিসের সাবেক সভাপতি শামীম আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত প্রায় এক বছর ধরে বিশ্বব্যাংক সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বেসিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশের কাজ করছে। ইতিমধ্যে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টটিতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরতেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ সময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা তৈরি, মানোন্নয়ন ও এসব উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। কানেক্টিং স্টার্টআপ বাংলাদেশ, এক হাজার ইনোভেশন, জাতীয় পর্যায়ে অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রোগ্রাম, বাড়ি বসে বড়লোকসহ বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই খাতের চাহিদায় আগামীতে এ ধরনের প্রকল্পের ধারাবাহিকতা থাকবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা উদ্ভাবন খুঁজছি ও তাদের উন্নয়নে কাজ করছি। কিন্তু ওই উদ্ভাবনের বাণিজ্যিকীকরণ করছি না। এ বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। আবার এসব উদ্ভাবন রক্ষা করতে কোনো পদক্ষেপ নেই। সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে এমনকি বেসিসের নিজ উদ্যোগেও দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরির নানা কার্যক্রম হয়েছে এবং এর ধারাবাহিকতা থাকবে।