ওয়েবের ২৫ বছর
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
রাগ-বিরাগ, হাসি-কান্না, ভাল-মন্দের আজ একটাই বাসা। জগত জোড়া এই জালেই আটকে আধুনিক মানুষের জীবন। ইন্টারনেট। আজ থেকে ঠিক ২৫ বছর আগে এই দিনে সাধারণ মানুষের কাছে খুলে গিয়েছিল ভার্চুয়াল জগতের বিশাল দরজা। মানুষ জানতে পারল তিন শব্দের মাহাত্ম্য। ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’। ইতিহাসের পাতায় সংযুক্ত হয়ে ছিল বর্তমানের ঐতিহাসিক অধ্যায়, ‘ইন্টারনেট’।
আম জনতার দরবারে নেট দুনিয়ার এই দিনই আজ পালিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টারনট ডে’ হিসেবে। ‘ইন্টারনট’ শব্দটি এসেছে ‘অ্যাস্ট্রোনট’ থেকে। মহাকাশে যেমন মহাকাশচারীদের অবাধ বিচরণ, তেমনই নেটদুনিয়ায় ‘ইন্টারনেট’ ব্যবহারকারীদের বিচরণ। ভার্চুয়াল জগতে ডুবে থাকা এই বাসিন্দাদেরই বলা হয়ে থাকে ‘ইন্টারনট’।
ইন্টারনেটের এই জন্মদিনের এই অবসরে ফিরে দেখা যাক ডিজিটাল ইতিহাসের টুকরো কিছু মুহূর্ত।
১) ১৯৮৯ সালে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ অর্থাৎ ‘ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ’র আবিষ্কার করেছিলেন ইউরোপীয় পারমানবিক গবেষণা সংস্থা সিইআরএন-এর গবেষক টিম বার্নার্স-লি।
২) মানবসভ্যতার জন্য ‘ওয়েব’-এর দ্বার খুলে দেওয়া হয় ১৯৯১ সালে। ১৯৯৩ সালে ইন্টারনেটকে সবার জন্য বিনামূল্যে ঘোষণা করে সিইআরএন।
৩) প্রথম ওয়েবসাইটটি ছিল info.ce.ch। যা অপারেট করত সিইআরএন টিমই। ডিজাইন করেছিলেন রবার্ট নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।
৪) প্রথম ছবিও আপলোড করেছিল সিইআরএন। ‘লেস হরিবলস কার্নেটস’ নামে কোম্পানির হাউস ব্যান্ডের ছবি আপলোড করেছিলেন টিম বার্নাস-লিই।
৫) ১৯৯৪ সালে তিন হাজারেরও কম ওয়েবসাইট ছিল ইন্টারনেটে। ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা পৌঁছায় ১০০ কোটিতে।
৬) ২০১৬ সালে পয়লা জুলাই পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সারা বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ।