নতুন গ্রহের সন্ধান
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : সৌরজগতে আরও একটি নতুন গ্রহের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এটা খুব দূর দিয়ে তার কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে। এমনকি বামনগ্রহ প্লুটোর থেকে দূর দিয়ে চলে এটি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক) এর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ দাবি করেছেন। তবে গ্রহটির অবস্থান নিশ্চিত করার বিষয়ে চাক্ষুষ কোনো প্রমাণ এখনই তাদের হাতে নেই।
তবে ওই দূরবর্তী মহাকাশে বস্তুগুলো যেভাবে নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছে, তা থেকেই নবম গ্রহের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ আরও সুদৃঢ় হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যদি এটা প্রমাণিত হয়ে থাকে তাহলে, পৃথিবীর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভর সম্পন্ন গ্রহ হতে পারে এটি। গ্রহটির অস্তিত্বের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে গবেষক দলের প্রধান ড. মাইক ব্রাউন বলেন, ‘বিশ্বে অনেক টেলিস্কোপ রয়েছে যেগুলো এটাকে খুঁজে পেতে সক্ষম হবে। আমি সত্যিই আশাবাদী যে, আমরা এটার অস্তিত্ব থাকার ঘোষণা দিচ্ছি এবং লোকজন এ নবম গ্রহটি খুঁজে বের করার বৈশ্বিক অনুসন্ধান শুরু করবে।’
বিজ্ঞানীরা হিসাব কষে বলছেন, নেপচুন সূর্য থেকে গড়ে যতদূর দিয়ে আবর্তিত হয়, তার চেয়ে ২০ গুণ দূরের কক্ষপথ ধরে ঘুরছে সম্ভাব্য নতুন এই গ্রহটি। সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ নেপচুন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন কিলোমিটার দূর থেকে। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিশ্বে নিশ্চিত হওয়া আটটি গ্রহ মোটামুটি একটি বৃত্তাকার পথ ধরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলেও সম্ভাব্য এ গ্রহটির কক্ষপথ অনেকটাই উপবৃত্তাকার। এই পথ ধরে পুরো সূর্যকে এক চক্কর দিয়ে ঘুরে আসতে ‘প্ল্যানেট নাইনের’ লেগে যেগে পারে পৃথিবীর হিসাবে ১০ থেকে ২০ হাজার বছর। ড. ব্রাউন জানান, বামনগ্রহ প্লুটো যেখানে রয়েছে, সেই বরফ আচ্ছাদিত গ্রহাণু বলয় কুইপার বেল্টের কয়েকটি গ্রহাণুপিণ্ডের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে বড় একটি গ্রহের উপস্থিতি নিয়ে তাদের ধারণা দৃঢ় হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দূরের অধিকাংশ বস্তুর সবই একটি খুব অদ্ভুত উপায়ে একই পথের দিকে ধাবিত হয়, এটা ঘটা উচিত না। তাই আমরা উপলদ্ধি করেছি, সেখানে যদি একটি বড় ধরনের গ্রহ থাকে, তাহলেই এগুলো একই উপায় একদিক দিয়ে ধাবিত হতে পারে। আমরা চিন্তা করে দেখেছি- গ্রহটির অস্তিত্ব সৌরজগতে থাকতে পারে।’