হীরার চেয়ে উজ্জ্বল ‘কিউ কার্বন’
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক :
বহুকাল আগে বিজ্ঞানীরা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সুলভ ও কমদামি মৌল সীসাকে মূল্যবান স্বর্ণে রূপান্তরের চেষ্টা করেন। তবে তা করতে ব্যর্থ হন তারা। কিন্তু বিজ্ঞান তো থেমে থাকেনি। এবার অসম্ভবকে সম্ভব করেছে আধুনিক বিজ্ঞান। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা রসায়নবিদ্যার সবচেয়ে বিস্ময়কর রূপান্তর ঘটিয়েছেন। তারা কার্বনকে হীরার সদৃশ একটি বস্তুতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন।
এটি করেছেন নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। এই গবেষত দল কার্বনের অণুর ওপর উচ্চমাত্রার লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করেন এক ধরনেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চকচকে ও উজ্জ্বল বস্তু তৈরি করেছেন। এর নাম দিয়েছেন ‘কিউ কার্বন’। বিজ্ঞানীরা একে বহুরূপী মৌল কার্বনের নতুন আরেকটি রূপ বলে মনে করছেন।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন তাদের আবিষ্কৃত নতুন এই পরিবর্তিত পদার্থের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তারা বলেছেন চিকিৎসাবিদ্যা ও শিল্পকারখানায় এটি বেশ অবদান রাখবে। বিশেষ করে ফেরোচৌম্বকত্ব, ঔজ্জ্বল্য ও তড়িৎ পরিবাহী ধর্মের কারণে চিকিৎসক ও শিল্পপতিদের কাছে কিউ কার্বন অনেক মূল্যবান হবে।
এছাড়াও তাদের গবেষণাপত্র অনুসারে, কিউ কার্বন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত পদার্থ হীরার চেয়েও নাকি ৬০ গুণ বেশি শক্ত ও উজ্জ্বল। কারণ তাদের ধারণা, এদের অণুতে কার্বনের পরমাণুগুলো হীরার চেয়েও শক্তভাবে আবদ্ধ থাকে।
আমরা জানি যে কার্বনের কঠিন রূপ গ্রাফাইট ও হীরক। তবে কিউ কার্বন আবিষ্কারের ফলে কার্বনের আরেকটি নতুন কঠিন অবস্থার আত্মপ্রকাশ ঘটলো এবং এটি নিজ ধর্ম ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা এটি হীরার রাজত্বে ভাগ বসাবে। এখন দেখার বিসয় কিউ কার্বনই ভবিষ্যতে অলঙ্কারে জগতে হীরার জায়গা দখল করে কি না!