কুকের সফলতার ৫ বছর
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
অ্যাপল কম্পিউটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে টিম কুক ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট কাজ শুরু করেন। অ্যাপলের প্রয়াত সিইও স্টিভ জবসের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে উত্তরসূরি হিসেবে টিম কুককে নির্বাচন করেন জবস। গত বুধবার কুকের অ্যাপলের সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
জবসের মতো একজন সৃজনশীল মানুষের উত্তরসূরি হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রাখা সহজ ব্যাপার নয়। অনেক অ্যাপল ভক্তের কাছেই গত পাঁচ বছরে এ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
কুকের হাতে অ্যাপলের অনেক সফলতার গল্প আছে। বড় আইফোন তৈরির পেছনে কাজ করেছেন টিম কুক। এই ফোনই রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ এনে দিয়েছে অ্যাপলকে। চীনের সবচেয়ে বড় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে অ্যাপল, সে-ও কুকের সাফল্য। কুকের মাধ্যমেই অ্যাপলের চোখ এখন ভারতে। কুকের নেতৃত্বে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করেছে অ্যাপল। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এফবিআইয়ের সাথে আইফোনের নিরাপত্তা নিয়ে লড়েছেন কুক। ব্যবহারকারীর তথ্যের নিরাপত্তা যে অ্যাপলের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সফলতার পাশাপাশি ব্যর্থতা যে নেই তা বলা যাবে না। ২০১২ সালে ভুলে ভরা অ্যাপল ম্যাপের জন্য ক্ষমাও চাইতে হয়েছে কুককে। এমনকি ভুল শুধরে নেয়ার আগ পর্যন্ত অন্যদের সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। আগামী দিনে কুকের হাত ধরেই গাড়ি, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্মার্টঘরের মতো নতুন নতুন ক্ষেত্রে অ্যাপল কাজ শুরু করেছে। হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি অ্যাপল এখন সফটওয়্যার নিয়েও কাজ করছে। আইফোন এবং ডিজিটাল সহকারী সিরিকে আরো চৌকস করে তোলা হচ্ছে। ফলে মানুষের বলার আগেই সে অনুমান করতে পারে কী আদেশ আসতে পারে। অনেক কিছুই করার আছে কুকের। পাঁচ বছরে কুকের নেতৃত্বের অ্যাপল দেখে বলাই যায়, সঠিক পথেই এগোচ্ছে অ্যাপল।