বাংলায় ফিচার লেখা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের অভ্যর্থনা

বাংলায় ফিচার লেখা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের অভ্যর্থনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বনামধন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে “৫২ থেকে ২১, এসো ফিচার লিখি” শিরোনামে ফিচার লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কমিউনিকেশন ক্লাব। মাসজুড়ে লেখা সংগ্রহ করে ২৮শে ফেব্র্রুয়ারি ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে এক আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

ছবি: ১ম পুরস্কার বিজয়ী আইরিন আঁচল অতিথিদের কাছ থেকে তার প্রশংসাপত্র গ্রহণ করছে

১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে আজকের সময়ের ভাষার ব্যবহার ও ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ফুটে উঠে প্রতিযোগীদের লেখনীতে। আয়োজনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আফতাব হোসেন। এছাড়া ফিচার লেখা নিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে বিস্তর আলোচনা ও সম্যক ধারণা প্রদান করেন একই বিভাগের প্রভাষক সাইদুর রহমান খান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সমগ্র শিক্ষার্থীবৃন্দের কাছ থেকে লেখা সংগ্রহ শেষে তার মূল্যায়ন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম, রাইজিংবিডি ডট কম এর নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায় ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অনলাইন শাখার বার্তা সম্পাদক মো. নূরুল হক।

নির্বাচকদের রায়ে প্রতিযোগিদের প্রথম ৫জন সেরা লেখকদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম ৫জন বিজয়ীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আইরিন আঁচল, একই বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির মাসুদ, কম্পিউটার, সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস, সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাইম হাসান রিদয় ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম। বিজয়ীদের হাতে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেয়ার পর শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের ফিচার লেখার চমৎকার অভিজ্ঞতাগুলো বিনিময় করেন অতিথিরা।

ছবি: উপস্থিত অংশগ্রহণকারীদের একাংশ

আয়োজনের ১ম পুরস্কার বিজয়ী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী আইরিন আচঁল জানান, লেখালেখির ইচ্ছা থেকেই তার সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগে ভর্তি হওয়া। আর পড়াশোনা ও অনুশীলনের পাশাপাশি এধরনের প্রতিযোগিতায় সবার সাথে অংশগ্রহণ নিসন্দেহে অনুপ্রেরণা জোগায়।

আয়োজনের প্রধান অতিথি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আফতাব হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে আরো বেশি পরিমানে আমাদের ভাষার ব্যবহারকে প্রসার করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহন ও আয়োজনে আমাদের মাতৃভাষায় ও মাতৃভাষার আন্দোলনের ইতিহাসকে নিয়ে লেখালেখি হবে অনুশীলন হচ্ছে; এই ধরনের আয়োজন আমাদের শিক্ষা পরিবেশের জন্যও প্রশান্তির। পাশাপাশি অন্য ভাষার প্রতিও আমাদের সমান শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরী।

অনুষ্ঠান শেষে এই ধরনের আয়োজনকে আরো ব্যাপক পরিসরে করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কমিউনিকেশন ক্লাব।

Sharing is caring!

Leave a Comment