ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল ভার্চুয়াল কনফারেন্স
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও স্কিল জবসের যৌথ আয়োজনে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ইনোভেশন ম্যানেজমেন্ট ফর সাসটেইনেবল ইকনোমিক ডেভলপমেন্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ন্যাশনাল ভার্চুয়াল কনফারেন্স শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সহযোগিতা করেছে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)। কনফারেন্সে ‘বেসলাইন ইনফরমেশন ডকুমেন্ট’ এর উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার আন্তর্জাতিক পরামর্শক এবং জাতিসংঘের এস্ক্যাপস এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক সেন্টার ফর ট্রান্সফার অ্যান্ড টেকনোলজির প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ড. এম নওয়াজ শরিফ। কনফারেন্সটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফেসবুক পেজ ও ক্যাম্পাস টিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং অ্যামচ্যামের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এবং বাক্যর সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ। অনুষ্ঠানে সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান এবং প্লেনারি সেশনের উপদেষ্টা ও আহ্বায়ক হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হিউম্যান রিসোর্চ ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (এইচআরডিআই) ডেপুটি পরিচালক এজাজ-উর-রহমান।
কনফারেন্সের কি-নোট স্পিকার প্রফেসর ড. এম নওয়াজ শরিফ বলেন, বাংলাদেশ খুব দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করছে। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশের ইন্ড্রাস্ট্রিখাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। বাংলাদেশের শিল্পখাতে নতুন নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে। শিল্পখাতকে টেকসই করতে হলে প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পখাত তৈরি করা ছাড়া বিকল্প নেই। কারণ উন্নত বিশ্বের শিল্পখাত বহু আগেই প্রযুক্তির ভেতর ঢুকে পড়েছে। আমরা যদি এখনও শিল্পখাতে প্রযুক্তির সর্বাত্মক ব্যবহার শুরু না করি তবে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই হবে না।
ড. মো. সুবর খান বলেন, সারা পৃথিবীতে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতের মেধাবী প্রযুক্তিবিদরা গুগলের সিইও হয়েছেন, মাইক্রোসফটের সিইও হয়েছেন। আমরা সেদিক থেকে এখনো অনেকটাই পিছিয়ে আছি। আমাদের উচিত এখনই শিল্পখাতে প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রয়োগ করা। তা না হলে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনোই টেকসই হবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে চারটি গ্রুপের মাধ্যমে ১৫০জন নিবন্ধিত অংশগ্রহণকারী প্লেনারি শেসনে অংশ নেন। গ্রুপগুলো হচ্ছে–১. ইলেজ ক্রিয়েটর গ্রুপ, ২. ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যাব গ্রুপ, ৩. গভর্মেন্ট/পাবলিক গ্রুপ, ৪. প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ গ্রুপ।