‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ : শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের আয়োজনে আজ রোববার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ : শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সীমান্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. হামিদুল হক খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাজেট কী এবং বাজেট সংক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশার ওপর পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন রিয়েল এস্টেট বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক নুরুল মোহাম্মদ জয়েদী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা সত্যিকার অর্থেই বিস্ময়কর। আগে দারিদ্র সীমা ছিল ৪৪ শতাংশ, এখন তা নেমে এসছে ২০ শতাংশে। জিডিপির হার বেড়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবকিছুতেই অগ্রগিত হয়েছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে। আর এটি ধরে রাখার দায়িত্ব মূলত তরুণ প্রজন্মের বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যখন ২০০৯ সালে উন্নয়ন বাজেট দিয়েছিল তখন সবাই এর সমালোচনা করেছিল। প্রায় প্রত্যেকেই বলেছিল, এত বড় বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা সেটি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে জাতিগতভাবে আমাদের মনোবল বেড়েছে। আমরা এখন নিজেদের অর্থায়নে অনেক কিছু করতে পারি। পদ্মা সেতু তার উদাহরণ। এসময় মন্ত্রী শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণার প্রতি আগ্রহী হতে আহ্বান জানান এবং গবেষণার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে তা সরকারের কাছে উপস্থাপন করার আহ্বান জানান।