ড্যাফোডিলে ‘সোমালিয়ার স্বাধীনতা দিবস’ উদযাপন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বাংলাদেশে বসবাসরত সোমালিয়ার শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘সোমালিয়ার স্বাধীনতা দিবস’ উদযাপন করেছে। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে তারা এ অনুষ্ঠান উদযাপন করে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সোমালিয়ান চিকিৎসক ড. কাসিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. ফখরে হোসেন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভানিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মারুফ চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ৩০০ সোমালিয়ান শিক্ষার্থী এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে তারা সোমালিয়ার জাতীয় সংগীত, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কাসিম বলেন, বিদেশের মাটিতে একসঙ্গে এতসংখ্যক সোমালিয়ান শিক্ষার্থীদের দেখে আমি সত্যিই খুব অভিভূত। এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে অত্যন্ত গর্ব বোধ করছি। এসময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ফখরে হোসেন বলেন, স্বাধীনতা মানে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয়। স্বাধীনতা মানে সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার নিরাপত্তা ইত্যাদি। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এই তরুণ শিক্ষার্থীরা সোমালিয়াকে আরো উন্নত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সোমালিয়ায় প্রতি বছর ১লা জুলাই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বাংলাদেশে যেসব সোমালিয়ান শিক্ষার্থী বসবাস করেন, তারাও প্রতিবছর দিবসটি উদযাপন করে থাকেন। এ বছর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।