ড্যাফোডিলে ‘আনটোল্ড ড্রিমস অব আনিসুল হক’ শীর্ষক আলোচনা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার’ এর আয়োজনে আজ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ‘আনটোল্ড ড্রিমস অব আনিসুল হক বাই নাভিদুল হক’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সদ্য প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অব্যক্ত স্বপ্নগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন আনিসুল হকের ছেলে এবং মোহাম্মদী গ্রুপের পরিচালক নাভিদুল হক। স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান এবং প্রয়াত আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাভিদুল হক বলেন, আমার বাবা একজন সুশৃঙ্খল মানুষ ছিলেন। তিনি কঠোরভাবে নিয়মকানুন মেনে চলতেন। তাই সব সময় চাইতেন এ শহরের সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক। তিনি চাইতেন নাগরিকরা সুনাগরিক হয়ে উঠুক। তার এসব অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য। এসময় নাভিদুল হক আরও বলেন, বাবা ব্যবসা করতেন ঠিকই। কিন্তু ব্যবসার চাইতে সমাজের কল্যাণের দিকেই তার মনোযোগ থাকত বেশি। আমৃত্যু তিনি সমাজের কল্যাণে কাজ করেছেন। ছেলে হিসেবে তিনিও সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাবেন বলে প্রতিজ্ঞা ব্যাক্ত করেন নাভিদুল হক।
রুবানা হক বলেন, আনিসুল হকের রেখে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আনিসুল হক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আনিসুল হকের স্বপ্নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করা হবে। সমাজের ইতিবাচক বদল নিয়ে কাজ করতে আনিসুল হকের নামে স্টাডি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা—এটা জেনে শিক্ষার্থীদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রুবানা হক। তিনি বলেন, আনিসের স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার ও আনিসুল হক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কাজ করবে। ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের জন্য নাগরিক টিভি ও মোহাম্মদী গ্রুপে ইন্টারশিপ করার সুযোগ থাকবে বলে ঘোষণা দেন রুবানা হক।
ড. মো. সবুর খান বলেন, আনিসুল হক ছিলেন একজন ভিশনারি লিডার। তার ছিল অনেক স্বপ্ন। কিন্তু সব স্বপ্ন পূরণ করার আগেই বড় অসময়ে তিনি চলে গেলেন। তার অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ করাই আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার অন্যতম কাজ হবে বলে জানান মো. সবুর খান। তিনি আরও বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আনিসুল হকের ছিল অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। তিনি মেয়র হওয়ার আগেই ড্যাফোডিলের অ্যালামনাই নাইট অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডেশন ডে-তেও এসেছিলেন। তরুণদের সান্নিধ্য পছন্দ করতেন তিনি। তার স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে তরুণদের কাজ।