ড্যাফোডিলে ‘অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্প মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনার পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মোহাম্মদপুর অঞ্চলের পরিদর্শক মো. সাব্বির আহমেদ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। সেমিনার শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অগ্নিকান্ড মোকাবেলার একটি বাস্তবাভত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সূচনাবক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান বলেন, বিভিন্ন গবেষণা ও জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর অগ্নিকান্ডে এ দেশে অগণিত মানুষ প্রাণ হারায়। ক্ষয়ক্ষতি হয় বক্তিক ও রাষ্ট্রীয় বিপুল সম্পদের। এজন্য ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড সম্পর্কে জনসচেতনা বাড়ানোর পাশপাশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন হামিদুল হক খান। তিনি আরো বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড মোকাবেলায় প্রশিক্ষিত করতেই এ সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
সেমিনারের প্রধান আলোচক ও প্রশিক্ষণ পরিচালক সাব্বির আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, যে কোনো বিপদে জনসচেতনাই বিপদ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায়। ভূমিকম্প কিংবা অগ্নিকান্ড চিরতরে সমাধান না করা গেলেও জনসচেতনতার মাধ্যমে আমরা এই বিপদ থেকে বহুলাংশেই রক্ষা পেতে পারি। এসময় তিনি ভুমিকম্প ও অগ্নিকান্ডের কারণ, বাংলাদেশে ভুমিকম্পের ফল্ট চিহিৃতকরণ, অত্যাধিক ঝুকিপূর্ণ এলাকা সম্পর্কে সম্যক ধারনা প্রদানসহ বিপদকালীন সময়ে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেন।