ড্যাফোডিলে নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মে) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে কবি নজরুলের জীবন ও কর্মের ওপর এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও নজরুল ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক কবি রেজা উদ্দিন স্ট্যালিন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরও রক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল অনুষদের সহকারী ডিন ও আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. একেএম ফজলুল হক, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান মাহবুব পারভেজ, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলায়ের, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিনয় বর্মন, জনসংযোগ বিভাগের উর্ধ্বতন সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হাবিব কাজল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘের শিক্ষার্থীরা জাতীয় কবির কবিতা থেকে পাঠ ও হামদ-নাত-গজল পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্চিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহির।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি রেজা উদ্দিন স্ট্যালিন বলেন, একটি শোষনমুক্ত, মানবিক ও গণতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে সাহিত্যের সংযোগ না থাকলে সেই সমাজ কিংবা রাষ্ট্র পূর্ণতা পায় না। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সেই সংযোগ স্থাপনের কাজ করে গেছেন। যতদিন পৃথিবীতে সাম্য, মৈত্রী ও অসাম্প্রদায়িকতার আবেদন থাকবে ততদিন নজরুলকে স্মরণ করতে হবে। তাই একশ আঠারো বছর পরেও আমরা নজরুলকে নিয়ে অনুষ্ঠান করছি, তাঁকে স্মরণ করছি। রেজা উদ্দিন স্ট্যালিন বলেন, নজরুল তাঁর সাহিত্যকর্মে সর্বদা তারুণ্যের বন্দনা গেয়েছেন। তিনি তারুণ্যের শক্তিতে আস্থা রেখেছেন। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা নজরুল জন্মজয়ন্তী পালন করছেন দেখে তিনি ড্যাফোডিল সাহিত্য সংঘকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এসময় তিনি নজরুলের সাহিত্যচেতনা সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
কাজী নজরুল ইসলামকে সম্পূর্ণ মানবিক কবি ও অসাম্প্রদায়িক কবি উল্লেখ করে রেজা উদ্দিন স্ট্যালিন বলেন, নজরুল ছিলেন সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক কবি, তার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর গানে, কবিতায়, নাটকে, গল্পে ও উপন্যাসে। তিনি একইসঙ্গে ইসলামী সংগীত, গজল, হামদ, নাত যেমন লিখেছেন তেমনি রচনা করেছেন শ্যামা সংগীত। জাতীয় কবির এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন কবি রেজা উদ্দিন স্ট্যালিন।