‘অটিজম : বুঝতে হবে, সচেতন হোন’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ডিআইইউ রোটার্যাক্ট ক্লাবের আয়োজনে “মানুষ হয়ে মানবতায় অবদান রাখুন” শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে ‘অটিজম : বুঝতে হবে, সচেতন হোন’ শীর্ষক এক সেমিনার ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ইয়াং বাংলার আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার এবং ডিআইইউ রোটার্যাক্ট ক্লাবের আহ্বায়ক দারা আব্দুস সাত্তার। ডিআইইউ রোটার্যাক্ট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হাসান শাহরিয়ার শাওনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউট্রিশন অ্যান্ড অটিজম রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রিপন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআইইউ রোটার্যাক্ট ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হুমায়ূন কবির পলাশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিম রাজ্জাক বলেন, অটিজমকে ভিন্ন চোখে দেখার কিছু নেই। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষ অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, আলবার্ট আইনস্টাইন, মোজার্ট, আইজ্যাক নিউটনসহ প্রমুখের নাম বলেন। নাহিম রাজ্জাক বলেন, এই মানুষগুলো বিখ্যাত হতে পেরেছিলেন, কারণ তাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবার তাদের পাশে ছিল। অটিস্টিক ভেবে অবহেলা করেনি। আমরা যদি আমাদের চারপাশের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়াই, যথাযথভাবে গুরুত্ব দিয়ে বড় করে তুলি, তবে তারাও পৃথিবী বিখ্যাত মানুষে পরিণত হবে।
বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে উল্লেখ করে নাহিম রাজ্জাক বলেন, বিগত নয় বছরে সরকার অটিজম বিষয়ে অনেক কাজ করেছে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছে। এই সচেতনতার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনেক অবদান আছে বলে জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ অটিজমে আক্রান্ত। সারা পৃথিবীতেই এই বিশেষ ধরনের মানুষ রয়েছেন। সুতরাং এই মানুষদের ভিন্ন চোখে দেখার কিছু নেই। অটিস্টিক শিশুদের যদি ছোটবেলা থেকেই সঠিক যত্নের সঙ্গে বড় করা হয় তবে তারাও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। এসময় তিনি সবাইকে অটিজম সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন।
আলোচনা শেষে চারজন রোটার্যাক্ট সদস্যকে বেস্ট রোটার্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া অটিস্টিক শিশুরা নাচ, গান ও অভিনয় প্রদর্শন করে।