ড্যাফোডিলে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালিত
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৮ উপলক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের আয়োজনে ও নর্দান কঞ্জুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি র্যালি ড্যাফোডিল টাওয়ার থেকে বের হয়ে ধানমন্ডির প্রধান ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ড্যাফোডিল টাওয়ারে ফিরে আসে। র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ‘আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় ‘সূর্যমুখী ফুল থেকে তেল ও স্বাস্থ্য উপকারিতা’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বেল্লাল হোসেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, ইউএসএআইডির ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রধান টিম রাসেল, নর্দান কঞ্জুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার মাহবুব উল আলম এবং এম অ্যান্ড জে গ্রুপের প্রকিউরমেন্ট বিভাগের প্রধান মো. নুরুল ইসলাম। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. আমির আহমেদ।
আলোচনায় ইউএসএআইডির ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রধান টিম রাসেল বলেন, ক্ষুদ্র আয়তনের ১৬ কোটি মানুষের দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করা রীতিমতো বিস্ময়কর। বাংলাদেশ সেই বিস্ময়কর কাজ করেছে। এদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তারা অসম্ভব পরিশ্রমী আর মেধাবী। তাদের অবদানেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করতে পেরেছে। এখন দেশের মানুষের পুষ্টি ও ভেজালমুক্ত খাদ্যের দিকে নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন টিম রাসেল।
নর্দান কঞ্জুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার মাহবুব উল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, নর্দান কঞ্জুমারই বাংলাদেশে প্রথম সূর্যমুখী ফুল থেকে তেল উৎপাদন করেছে। এজন্য কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সূর্যমুখী চাষ করতে হয়েছে বলে জানান তিনি। মাহবুব উল আলম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় টিম রাসেলের নেতৃত্বে একদল কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে তারা সূর্যমুখী চাষ করছেন এবং সেই সূর্যমুখী থেকে তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।