দেড় হাজার শিক্ষার্থী পেল ফ্রি ল্যাপটপ
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতামূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ১৯তম পর্বে ১ এপ্রিল ২০১৯ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ১৫০০ টি ডিসিএল সি ৪৮৩ মডেলের ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া। ল্যাপটপ প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান একাডেমিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুবুল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এ কে এম ফজলুল হক, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস তৌসিফ ও সাবিহা ইসলাম। ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের সহায়তায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালের সামার সেমিস্টার থেকে এ পর্যন্ত ২৫০০০ ল্যাপটপ বিতরণ করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ল্যাপটপ শুধু একটি যন্ত্র নয়, এটি একটি ক্ষমতা। আজ থেকে তোমরা একটি বিশেষ ক্ষমতা হাতে পেলে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার কখনোই সুফল বয়ে আনে না। তাই এই ক্ষমতার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন নিজের ব্যবহৃত ২৫ বছর আগের একটি ল্যাপটপ দেখিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এই ল্যাপটপ আমার সঙ্গে আছে। আমার কর্মজীবনের যা কিছু অর্জন তার পেছনে এই ল্যাপটপের বিরাট অবদান রয়েছে। আজ শিক্ষার্থীদের হাতে যে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হলো সেটিও তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. তৌহিদ ভূঁইয়া বলেন, প্রযুক্তির যেমন ভালো ব্যবহার রয়েছে, তেমনি খারাপ ব্যবহারও রয়েছে। ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থী নিশ্চয় ল্যাপটপটিকে খারাপ কাজে ব্যবহার করবে না, এটা আমার বিশ্বাস বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. তৌহিদ ভূঁইয়া আরো বলেন, ইদানিং ফেসবুকে যেকোনো বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এই চর্চা থেকে বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদেরকে ইতিবাচক হওয়ার আহ্বান জানান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ল্যাপটপটিকে তিনি শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করার কাজে ব্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি।