মুমূর্ষুর পাশে ‘এফডিআরএফ’
- শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া
‘মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে… একটু সহানুভূতি কী মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু….’। পরিচিত এই গানের লাইন শুধুই কি গান? না! এটি শুধু গান নয়, এই গানের সুপ্ত আলোয় আজ মানুষ শিখেছে মানুষের পাশে দাঁড়াতে। অকালে মরণব্যাধী বয়ে বেড়ানো কোমলমতি উঠতি শিক্ষার্থীদের সহায়তা জন্য জেঁগে উঠেছে ‘এফডিআরএফ’।
‘ফ্যাটাল ডিজিজ রিকোভারিং ফাউন্ডেশন-এফডিআরএফ’ নামের এই সংগঠন কাজ করছে মরণব্যাধীতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে। চলছে সংগঠনটির সদস্য ও তহবিল সংগ্রহের কাজ। প্রতি বছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে দু-একজন মারা যায়। অর্থাভাবে অনেকেই যথাযথ চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পারেন না। চিকিৎসার ব্যয় বহণ করতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার ও বন্ধুদের নামতে হয় রাস্তায়। ঘুরতে হয় সাহায্যের আবেদন নিয়ে দ্বারে দ্বারে।
তাই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পথচলা শুরু করেছে ফ্যাটাল ডিজিজ রিকোভারিং ফাউন্ডেশন- এফডিআরএফ। আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের তত্বাবধানে একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এগিয়ে চলছে সংগঠনটি।
সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল বলেন-‘বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী অকালে ঝরে পড়ে। অর্থের অভাবে অনেকেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর একটু একটু সহযোগীতার মাধ্যমে একটি তহবিল গঠন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।তহবিলটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে। শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে বিভাগীয় চেয়ারম্যান মারফত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে চিকিৎসা ব্যয় পাওয়ার আবেদন করবে। আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসন বিচার-বিবেচনা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। এ ব্যাপারে ভারত ও বাংলাদেশের কয়েকটি উন্নতমানের হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান ও সহায়তা প্রদান করা হবে।’
এদিকে তহবিল গঠন ও সদস্য অর্ন্তভুক্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে বুথ স্থাপন করে প্রচারণা চালাচ্ছে সংগঠনটি। চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহ ও তহবিল গঠনের মাঠ পর্যায়ের কাজ চলবে বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।