চলো পড়ি চারুকলায়
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগে স্নাতক এবং স্নাতোকোত্তর পড়বার সুযোগ আছে। ২০১৫–১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয় (চতুর্থ বিষয় ব্যাতীত) এস,এস,সি ও এইচ,এস,সি জিপিএর যোগফল ৬.৫০ বা তার উর্ধ্বে হতে হবে। অর্থাৎ এসএসসি ও এইচএসসিতে পৃথকভাবে জিপিএ চতুর্থ বিষয় ব্যাতিত ৩.০০ থাকতে হবে। যেখানে কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করতে পারবে। এবছরের কোনো সিদ্ধান্ত এখন ও জানা যায়নি। এছাড়াও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইউডা, শান্তা মারিয়াম সহ বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নুন্যতম যোগ্যতা প্রায় কাছাকাছি থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে মোট ৮টি বিভাগে রয়েছে। বিভাগ গুলি হল : অঙ্কন ও চিত্রায়ন বিভাগ, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ, ছাপচিত্র বিভাগ, ভাস্কর্য বিভাগ, মৃৎশিল্প বিভাগ, কারুশিল্প বিভাগ, প্রাচ্যকলা বিভাগ, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ। এই অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২০ নাম্বারের উপর, এস,এস,সি ও এইচ,এস,সি এর ফলাফলের উপর ৮০ নাম্বার (সর্ব মোট ২০০ নাম্বার)। ৬০ নাম্বার থাকে MCQ পরীক্ষা এবং বাকী ৬০ নাম্বর অঙ্কন পরীক্ষার উপর। ৬০ নাম্বারের MCQ পরীক্ষায় ভাল করতে চাইলে যে কোন শিক্ষার্থীকে চারুকলার ইতিহাস, শিল্পকলার ইতিহাস, বাংলাদেশের স্থাপত্তকলা, সাহিত্য, বাংলাদেশের শিল্পকলা এবং সাম্প্রতিক বিষয়বস্তুর উপর অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। এছাড়াও বাংলা, ইংরেজি ও ব্যাকরণ বিষয়েও প্রস্তুতি নিতে হবে। MCQ এবং অঙ্কনে সমান সমান নাম্বার থাকা সত্ত্বেও অঙ্কনে প্রাপ্ত নাম্বার চারুকলায় ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অঙ্কন পরীক্ষায় ভাল করতে চাইলে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অংকনের রেখার মান, আলোছায়া, পরিপেক্ষিত, কম্পোজিশন, অনুপাত এই বিষয় গুলির উপর নির্ভর করে অংকনের মান যাচায়ের মাধ্যমে নাম্বার দেয়া হয়। সুতরাং এই বিষয়গুলির উপর সুস্পষ্ট ধারণা ব্যাতিরেক অংকন পরীক্ষায় ভাল করা সম্ভব নয়। বর্তমানে চারুকলার শিক্ষার্থীদের টেলিভিশন মিডিয়া, এ্যাড ফার্ম, নিউজ পেপার, ফ্যাশন হাউস, এনিমেশন এন্ড গেমিং ফার্ম, ডিজাইন, ফ্রিল্যান্স শিল্পী ইত্যাদি অনেক ক্ষেত্রে চাকরির জন্য ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে অনেকেই চারুকলায় ভর্তির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
২০১৫–২০১৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাধিক প্রতিযোগিতা হয় চারুকলা অনুষদ (চ ইউনিট) এ। গত বছর চ ইউনিটে মোট ১৩৫ টি আসনের প্রতি আসনের বিপরীতে প্রায় ৯০ জন এর মত আবেদন করেছিল। তাই এখন মোটেও হেলাফেলার সময় নেই। লক্ষ্য স্থির রেখে দৃঢ় প্রস্তুতি নিতে হবে। সুতরাং আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আজকে থেকেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে হবে। চারুকলায় ভর্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা যেন চারুকলার পড়াশোনা সম্পর্কে একটি নূন্যতম ধারণা নিয়ে চারুকলায় ভর্তির সুযোগ পায়, এই উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চতুর্থ বর্ষের বিএফএ (সম্মান)এর শিক্ষার্থীরা অনুষদের প্রঙ্গনেই প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও ২১ জুন থেকে “কাঠপেন্সিল” শীর্ষক একটি কর্মশালার কার্যক্রম শুরু করেছে। যেখানে বাংলাদেশের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদেরকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। উক্ত কর্মশালায় ভর্তি চলছে।