পড়তে চাইলে ইংরেজি সাহিত্যে
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
অনেক ছাত্রছাত্রীই উচ্চ মাধ্যমিকের পর স্নাতকস্তরে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়তে চায়। তবে মনে রাখা দরকার দ্বাদশ স্তর পর্যন্ত ইংরেজি বলতে যে ধরনের পঠনপাঠন ছেলেমেয়েরা করে আসে, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরের ইংরেজি তার থেকে অনেকটাই আলাদা। তাই ‘ইংরেজি নিয়ে পড়ছি’ বলার জন্য ইংরেজি পড়া উচিত নয়। ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যে সত্যিই গভীর ভাবে ঢুকতে চাও কি না, সেটা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বিষয়টা পড়তে গিয়ে যদি তোমার ভাল না লাগে তখন সেটার সঙ্গে তুমি একাত্ম হতে পারবে না। যে কোনও ভাষারই নিজস্ব একটা মাধুর্য থাকে। সৌন্দর্য থাকে। সেটা বুঝতে হয়। তবেই বিষয়টা তোমার কাছে ধরা দেবে। বিষয়টাকে যদি তুমি বুঝতেই না পারলে, বা ভালবাসতেই না পারলে, তা হলে ভবিষ্যতে যে পেশাতেই যাও না কেন, বেশি দূর এগোতে পারবে না। হয়তো সকলের জন্যই কোনও না কোনও ক্যারিয়ার পথ ঠিকই বেরিয়ে যায়, তবে যারা ইংরেজিকে ভালবেসে পড়তে আসে তাদের পক্ষে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করা কঠিন কাজ নয়।
কী ধরনের চাকরি?
সাংবাদিকতা, সংবাদপাঠ, সঞ্চালনা, সম্পাদনা, জনসংযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে ইংরেজির স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ছেলেমেয়েদের প্রচুর সুযোগ। ব্যাঙ্ক এবং বিমা ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসিং এবং যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা দু’ভাবেই ইংরেজির ছাত্র-ছাত্রীরা সুযোগ পাচ্ছে। সর্ব ক্ষেত্রে, ইংরেজির অপরিহার্যতার জন্য নতুন নতুন চাকরির ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে, যেমন কর্পোরেট কমিউনিকেশন, বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থায় ইংরেজির প্রয়োগ শিক্ষণ, বাণিজ্যিক সংস্থায় কনটেন্ট রাইটিং এবং বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ। বিনোদন-জগৎ দরজা খুলে দিয়েছে ইংরেজির লোকদের জন্য সিনেমার পরিচালনা, সম্পাদনা, সিনেমাটোগ্রাফি, স্ক্রিপ্ট লিখন, অভিনয়, ফিল্ম রিভিউ, গ্রাফিক ডিজাইন, ফ্যাশন শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগের সম্ভাবনা রয়েছে বিজ্ঞাপন জগৎ, বিপিও, এনজিও সংস্থা ইত্যাদি। ইচ্ছুক এবং উদ্যোগীদের জন্য সুযোগ রয়েছে লাইব্রেরি সায়েন্স এবং অ্যাপ্লায়েড আর্টসে। রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন রকম সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ইংরেজির ছাত্র-ছাত্রীদের। যদি কেউ এমবিএ করতে চাও, এই বিষয়ে মন দিয়ে পড়াশোনা করলে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশ উজ্জ্বল।
শিক্ষক হওয়ার সুযোগ
সর্বোপরি রয়েছে শিক্ষাজগতের সুযোগ। যাঁরা শিক্ষকতা করতে চান ইংরেজি সাহিত্যে এবং বিভিন্ন এমবিএ কলেজে, যোগ্যতার নিরিখে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা তো দেশ-বিদেশে হচ্ছেই। গবেষণার কত রকম বিষয় ইংরেজি সাহিত্য, অন্যান্য ভাষার সাহিত্য, নৃতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, নিউরো লিঙ্গুয়িস্টিক্স, আর্ট এবং আর্কিটেকচার, জেন্ডার, শিশুসাহিত্য, কল্পসাহিত্য, থিয়োলজি, দলিত সাহিত্য, কালচার স্টাডি ইত্যাদি।