‘কঠোর পরিশ্রমই আসল’

‘কঠোর পরিশ্রমই আসল’

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক 

বাংলাদেশি জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী রুবাব খান কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায়। তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম, বাংলাদেশে যে তরুণেরা জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী হতে চান, তাঁদের জন্য তাঁর কী পরামর্শ?


জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটা পথ খোলা আছে। যদিও প্রক্রিয়াটা খুব সহজ নয়। এইচএসসির পর ‘স্যাট’ অথবা ‘টোয়েফল’ পরীক্ষা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। বৃত্তি পেলে তো খুবই ভালো। এ ছাড়া পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান কিংবা গণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করে সাধারণ জিআরই অথবা পদার্থবিজ্ঞানে জিআরই পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফল করে তারপর পদার্থবিজ্ঞান বা জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারো। পদার্থবিজ্ঞান অথবা এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত কোনো বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে এরপর আন্তর্জাতিক সহায়তায়ও নিজেকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

কিছু ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানে ডিগ্রি নেওয়া এবং গবেষণা করার সুযোগ করে দিচ্ছে। এটা একটা ভালো সুযোগ। বাংলাদেশের আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে, আগে থেকেই দীর্ঘ সময়ের একটা পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি থাকো। কোনো ধাপে সাফল্য না এলেও, হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে না দিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে সব ধরনের সম্ভাব্য উপায় কাজে লাগাও। এর সঙ্গে একটি রীতিবিরুদ্ধ নতুন জগতে হাঁটার আগে তোমাদের উচিত যত দূর সম্ভব প্রথাগত ক্যারিয়ারের চিন্তাটাও মাথায় রাখা। যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত অথবা চীনে স্নাতক পর্যায়ে আবেদন করার প্রস্তুতি নেওয়ার সঙ্গে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের বিষয়টিকে হেলাফেলা করা উচিত নয়। স্নাতক পর্যায়ে বাইরে সুযোগ না পেলেও এভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেলে হয়তো স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সুযোগ পাওয়া যাবে।
যেকোনো কাজই ভালোবেসে করলে আরও ভালো হয়। কলেজশিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা ধারণা আছে, সফল হতে হলে বড় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে হবে অথবা ‘বড় মানের’ কোনো বিষয়ে পড়তে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই ‘বড় মানের’ বিষয়ের ধারণাটি চার থেকে পাঁচ বছর পরপর বদলে যায়। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও কঠোর পরিশ্রম না করলে সফলতা আসবে না।

সূত্র: প্রথম আলো
favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment