‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ক্লাসে ঢুকতে হবে ইডেনের ছাত্রীদের’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১০ দিন অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে তোড়জোড় পড়েছে রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এরই ধারাবাহিকতায়, অনিয়মিত ছাত্রীদেরকে সহজে চিহ্নিত করতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে ইডেন কলেজের প্রশাসন। শিগগিরই ছাত্রীদেরকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ গায়ত্রী চ্যাটার্জী। শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে একান্ত আলাপকালে বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এসব কথা জানান।
অধ্যক্ষ বলেন, কেউ দশ দিন অনুপস্থিত থাকলেই যেন সহজে আমরা বের করতে পারি কারা অনুপস্থিত। এই সুবিধার কথা চিন্তা করেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডিভাইস বসানো হবে। ইতোমধ্যে ২২টি বিভাগের সামনের দরজায় ডিভাইস বসানোর কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
শনিবার দুপুরে কলেজে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজটির প্রধান গেটে বাড়তি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিচয়পত্র ছাড়া কোনও ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া যেসব ছাত্রীদের বোরখা পরা অথবা মুখে নেকাব পরা তাদের নেকাব খুলে পরিচয়পত্রের ছবির সঙ্গে চেহারা মিলিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। নেকাব খুলে পরীক্ষা করার জন্য একজন নারী কর্মচারীকে গেটে দাঁড় করানো হয়েছে।
এছাড়া কলেজের গেটে এক দারোয়ান মাইকে বলছেন, ‘কলেজে প্রবেশ করতে হলে আইডি কার্ড দেখাতে হবে, যাদের আইডি কার্ড আছে তারা আইডি কার্ড দেখান, যাদের আইডি কার্ড নেই তারা বাড়ি চলে যান।’ এত কড়াকড়ি কেন? জানতে চাইলে এক দারোয়ান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেভাবে চারিদিকে কোপাকুপি হচ্ছে, তাতে কড়াকড়ি করা ছাড়া উপায় নেই।’
কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, আমাদের কলেজে আগে থেকেই ৩২টি সিসি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। সারাক্ষণ এই ফুটেজ রেকর্ড হয়। তাছাড়া যেহেতু মেয়েদের কলেজ, ফলে একটু বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতেই হয়।
অনুপস্থিত ছাত্রীদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে গায়ত্রী চ্যাটার্জী বলেন, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া ইতোমধ্যে যারা অনুপস্থিত রয়েছে তাদের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছি। কলেজের ৩২ হাজার ছাত্রীর মধ্যে ১৮ হাজার ছাত্রীর ঠিকানা ইতোমধ্যে হালনাগাদ করেছি। বাকিদেরটাও দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের খুঁজে পেতে কোনও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা তো একটু হচ্ছেই। অনুপস্থিত ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে তো খোঁজ নিয়ে আসা সম্ভব না। তাদের ফোনে কল করা হচ্ছে। এছাড়া যেহেতু কলেজটি মহিলা কলেজ অনেকেই বিবাহিত, অনেকেই গর্ভবতী, অনেকেরই বাচ্চা আছে। এমন অনেক কারণেই তারা কলেজে নিয়মিত হতে পারে না। ফলে অনেক কিছু মাথায় রেখে এগোতে হচ্ছে।