নিশাত: সফল সফটওয়্যার প্রকৌশলী
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
নিশাত আরা আলম। পেশায় সফটওয়্যার প্রকৌশলী। গল্পটা এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু। পড়াশোনা শেষে আর দশটা ছেলে মেয়ে যখন হন্যে হয়ে চাকরির পিছনে ঘুরে, তখন নিশাতকে চাকরির জন্য ঘুরতে হয়নি। বরং চাকরিই নিশাতের পেছনে ঘুরছে।
দেশ বিদেশ মিলিয়ে পড়াশোনা নিশাতের। নিশাত ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং অটোমোশন সিস্টেম বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্স থেকে। এর আগে দেশে এনসিসি এডুকেশন ইউকে’র অধীনে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি (ডিআইআইটি) থেকে ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) বিষয়ে বিএসসি অনার্স গ্রোগ্রামে পড়াশোনা করে সনদ লাভ করেন।
নিশাত আরা আলম কাজ করেছেন মূলত জাভা এবং ডটনেট প্রযুক্তি নিয়ে। জাভা স্প্রিং ফ্রেমওয়ার্কে রয়েছে তার বিশেষ দক্ষতা। নিজস্ব দক্ষতার কারণেই ২০১১ সালের আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার এম্পায়ার ওয়ান গ্রুপে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি। এর আগে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ারই সিডনির ফেইরফ্যাক্স ডিজিটালে। তাছাড়া তিনি সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছেন কোয়েক্সটান্ট প্রফেশনাল সার্ভিসে। জার্মানির মানহেইম ইউনিভার্সিটির রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কর্মরত ছিলেন তিনি।
উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ হওয়ার পরে কোথায় পড়বেন এমন চিন্তা অন্যদের মতো তারও ছিল। অনেক ভেবে-চিন্তে শেষ পর্যন্ত তিনি ভর্তি হন ধানমন্ডিস্থ ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটিতে বিএসসি অনার্স ইন আইটি প্রোগ্রামে। এখান থেকে সফলভাবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে তিনি সুযোগ পান জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সে পড়ার। ওই সময়ে আইটি নিয়ে পড়ার সিদ্ধান্তকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নিশাত। তার ভাষায়, ‘আমাদের দেশে মেয়েদের আইটি শিক্ষা আসলে ততটা জনপ্রিয় নয়। আর সে কারণেই এই বিষয়ে পড়ব কি না, সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলাম। পরে সকলের সাথে কথা বলে শেষ পর্যন্ত আইটি নিয়েই পড়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমার মনে এটাই আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে।’
বাংলা, ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় দক্ষতা রয়েছে নিশাতের। জাভা, সি-শার্প, ওয়েব সার্ভিস, হাইবারনেট, সিএসএস ৩, এইচটিএমএল ৫, জেকুয়েরি, মাইএসকিউএল, রুবি, পাইথন, ফেসবুক এপিআইসহ নানান বিষয়ে তার দক্ষতা রয়েছে।
যারা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে পড়ালেখা করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিশাত। একদিন বিশ্বের সেরা আইটি চাকরিতে আমাদের দেশের নারীরা নেতৃত্ব দেবে—এমনটিই আশাবাদ তার।