ভালো অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হলে
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
পরিচ্ছন্ন বর্ণনা দিতে পারা সৃজনশীলদের বড় গুণ। ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায়ই অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হয়। এই এক ধরনের রচনা লেখার মতো। এই রচনা সমৃদ্ধ করতেও জানা চাই গুটিকতক টিপস।
বিষয় বাছাই
রচনার বিষয় যদি নিজেকে বাছাই করতে হয়, তবে ঢালাওভাবে স্রোতে গা না ভাসানোই উত্তম। বিষয়ের ওপরই নির্ভর করছে রচনাটা কতটা মজার কিংবা তথ্যবহুল করা সম্ভব। তাই লেখার আগে যথেষ্ট সময় নিয়ে ভেবে নাও বিষয়। পরীক্ষায় যদি লিখতে হয়, তবে আগে থেকেই অন্য রকম কিছু বিষয় ঠিক করে গবেষণা সেরে নাও। তুমি যতই সৃজনশীল হও, পরীক্ষার সময় বিষয় ভাবতে গেলে আর লেখার সময় পাবে না।
একগাদা প্রশ্ন
একটা বিষয়ে লেখার আগে সে বিষয়ে যতটা সম্ভব প্রশ্ন বানিয়ে নাও। প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলেই দেখবে রচনার মালমসলা জোগাড় হয়ে যাবে। যেমন : বিষয় যদি হয় ইন্টারনেটে যোগাযোগ, তবে প্রশ্ন হতে পারে—এর ইতিহাস কী, কী কী মাধ্যম আছে, এর সুবিধা-অসুবিধা কী, কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, সহায়ক প্রযুক্তিগুলো কী ইত্যাদি।
আকর্ষণীয় শিরোনাম
রচনা বা বর্ণনার একটা শিরোনাম থাকা চাই। তবে সেটা যেন স্রেফ বিষয়ের নামে না হয়। একটু অন্য রকম বা মূল বিষয়ের গভীরের কোনো ইস্যু নিয়ে যদি হয়, তবে তোমারটা অন্য রকম মূল্যায়ন পাবে। শব্দ নিয়ে খেলা করতে পারো নির্দ্বিধায়, তবে সেটা যেন সহজবোধ্য হয়। যেমন ইন্টারনেটে যোগাযোগ বিষয়ক রচনার একটি শিরোনাম হতে পারে—ইন্টারনেটে যোগাযোগ ও আন্তরিকতা।
কম কথায় বেশি তথ্য
রচনা আকারে ছোট হলেই ভালো। তবে ছোট করতে গিয়ে আবার দরকারি তথ্য বাদ দেওয়া চলবে না। তাই বাক্য লেখা ও শব্দ প্রয়োগে সাবধান থাকতে হবে। এক তথ্য দুবার লিখে ফেলছ কি না সেটাও খেয়াল রাখবে। আবার অনেক সময় চাইলে দুটি তথ্য একবাক্যেই জুড়ে দেওয়া যায়।
শুধু কথায় চিঁড়ে ভেজে না
রচনা মানে মনের কথা নয়। প্রতিটি লাইনেই চেষ্টা করতে হবে, কিছু তথ্য-উপাত্ত দেওয়ার। গুগল সার্চ করে বিষয়বস্তুর ওপর কিছু ফ্যাক্ট ও পরিসংখ্যান বের করে নিতে পারলে রচনাটা সমৃদ্ধ হবেই। যেমন : আজকাল অনেকে ফেসবুক ব্যবহার করে, এটা না লিখে লিখতে পারো, এই মুহৃর্তে পৃথিবীতে ১০০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। এতে প্রতিদিন গড়ে ৩০ কোটি ছবি আপলোড হয়।