বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি : পড়তে হবে খুঁটিনাটি সব

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি : পড়তে হবে খুঁটিনাটি সব

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

এইচএসসি পরীক্ষার ফল হয়েছে অনেক আগেই। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধ চলছে। বিজ্ঞানে পড়ার ইচ্ছা থাকে অনেক শিক্ষার্থীর। তবে প্রতিযোগিতা হবে অনেক বেশি। ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে। সামনে সময় খুবই কম। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করতে হবে। শুধু এইচএসসির সিলেবাস অনুসারেই নয়, বরং বইয়ের খুঁটিনাটি সব বিষয়ই পড়তে হবে।

বাংলা

বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে বিশেষ করে দেখা গেছে, গদ্য ও কবিতা অংশ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন প্রতিবার আসে। সেক্ষেত্রে গদ্যের মূল বিষয়, গদ্য লেখক পরিচিতি, তার সাহিত্যকর্ম, জীবনী ইত্যাদি বিষয় জানতে হবে। কবিতার ক্ষেত্রেও তাই। উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ বা নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ থেকেও প্রশ্ন আসতে পারে। ব্যাকরণ অংশের জন্য ভাষা, বাংলা ভাষা, ব্যাকরণ, শব্দ, কারক, সমাস, সন্ধি, বিভক্তি, বচন, বাক্য সংকোচন, বাগধারা, উপসর্গ, অনুসর্গ বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর ভালো অনুশীলন দরকার।

ইংরেজি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে ইংরেজির ক্ষেত্রে প্রামার অংশে অধিক জোর দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে Parts of speech, Article, Tense, Voice, Narration, Correction, Right form of verbs, Translation, Synonyms, Antonyms, Transformation of sentences, Joining sentence, Comprehension প্রভৃতি বিষয় ভালোভাবে পড়তে হবে। পাশাপাশি ইংরেজ কবি ও সাহিত্যিক, বিশেষ করে যাদের লেখা এইচএসসির সিলেবাসে রয়েছে তাদের জীবন ও সাহিত্যকর্ম, লেখার বিষয়, উদ্ধৃতি ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়ও মনে রাখতে হবে।

রসায়ন

উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির রসায়ন মূল পাঠ্য বইয়ের মধ্য থেকে পদার্থের বিভিন্ন অবস্থা, পর্যায় সারণী, রাসায়নিক গণনা, জারণ-বিজারণ, রাসায়নিক বন্ধন, রাসায়নিক বিক্রিয়া, প্রতীক, সংকেত, যোজনী, গাঠনিক সংকেত, আণবিক সংকেত, রাদারফোর্ড, বোরের পরমাণু মডেল বিষয়গুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। পরীক্ষায় সফল হতে হলে বইয়ের কোনো অধ্যায় এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।

পদার্থ

পদার্থ বিজ্ঞানে প্রস্তুতির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যবইয়ের প্রথমপত্র থেকে গতির সূত্র, মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ, স্থিতিস্থাপকতা, তাপ, গতিবিদ্যা, ভেক্টর ও স্কেলার রাশি, বেগ, ত্বরণ, বল ও বলের প্রকারভেদ, মাত্রা ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে একক ইত্যাদি পড়তে হবে। পদার্থ দ্বিতীয়পত্র থেকে স্থির বিদ্যুত্, বিদ্যুত্ প্রবাহের তাপীয় ও রাসায়নিক ক্রিয়া, চৌম্বক পদার্থ, আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ইলেক্ট্রন, প্রোটন, পরমাণুসহ ইলেক্ট্রনের প্রতিটি অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা, সূত্রাবলী, ঘটনা ও কারণ, প্রভাব, পার্থক্য, গাণিতিক সমস্যার সমাধান জানতে হবে।

জীববিজ্ঞান

জীববিজ্ঞানের দুইটি অধ্যায়। উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণী বিজ্ঞান। উদ্ভিদ বিজ্ঞান থেকে পাঠ্যবইয়ের সব অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, আবিষ্কারকের নাম, প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা, উদাহরণ, পার্থক্য, উদ্ভিদের শ্রেণিবিন্যাস, মূল, কাণ্ড, পাতা, গোত্র পরিচিতি, সালোক সংশ্লেষণ, শ্বসন, প্রস্বেদন, টিস্যু, টিস্যুতন্ত্র বিষয়গুলো পড়তে হবে। প্রাণী বিজ্ঞান অংশের ম্যালেরিয়ার জীবাণু, হাইড্রা, দেহপ্রাচীর, কলা, কোষ, প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম, পরিপাক তন্ত্র, রক্ত ও রক্ত সংবহনতন্ত্র, রেচনতন্ত্র, পেশিতন্ত্র, প্রাণীর প্রজনন তন্ত্র ইত্যাদি বিষয় পড়তে হবে।

গণিত

গণিত চর্চার কোনো বিকল্প নেই। তবে এ ক্ষেত্রে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে অনেক কম সময়ে ভর্তি পরীক্ষায় গণিতের উত্তর বের করা সম্ভব। ভর্তি পরীক্ষার অংকগুলো এইচএসসি পরীক্ষার অংকগুলোর মতো একই রকম হলেও প্রায়োগিক দিক দিয়ে এই দুই ধরনের অংকের মাঝে অনেক পার্থক্য থাকে। বলা যায় ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিত বুদ্ধি এবং গাণিতিক জ্ঞানের বুদ্ধিদীপ্ত প্রয়োগের পরীক্ষা হয়। পর্যাপ্ত অনুশীলন না থাকলে কারো পক্ষে পরীক্ষার হলে সর্বোচ্চ দক্ষতা দেখানো সম্ভব না। তার উপর আবার নির্ধারিত সময়ের মাঝে একই সাথে অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নগুলোর উত্তরও দিতে হয়।

সূত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment