মুক্তিযুদ্ধের গণকবরে দেশি–বিদেশি শিক্ষার্থীরা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে তৃতীয় উইন্টার স্কুল ও সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড স্টাডিজের শিক্ষার্থীরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে কেরানীগঞ্জের গণকবর এবং মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে ৩২ জন দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী কেরানীগঞ্জের চারটি স্থানে ঘাটারচর এলাকার গণকবর, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ, আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ঘটনাবহুল স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় ফাঁসিতে দণ্ডিত কাদের মোল্লা মামলার সাক্ষী আবদুল মজিদ পালোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেদিনের ঘটনা শোনেন। এরপর শিক্ষার্থীরা কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামে নিখোঁজ ১১ জন শিক্ষার্থীর স্মৃতিস্তম্ভ, নারী মুক্তিযোদ্ধা শরীফুননেছার বাড়িতে গেলে তিনি মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা সবিস্তারে বলেন। তারানগর ইউনিয়নের ভাওয়াল এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলায় পুড়িয়ে দেওয়া খানবাড়ি পরিদর্শন করেন তাঁরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেন্টার ফর স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস-এর পরিচালক মফিদুল হক, জেনোসাইড স্কলার অ্যান্ড বিয়ন্ড জেনোসাইডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এমি সাগিন, আর্জেন্টাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ভেনাস আইরিস, তারানগর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের স্বেচ্ছাসেবক ইফতেখার শাহরিয়ার প্রমুখ।
মফিদুল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবহুল স্থান, গণকবর, মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে আমরা সরেজমিনে কেরানীগঞ্জের চারটি ঘটনাবহুল স্থান পরিদর্শনে যাই। আমাদের দেশের ২৬ জন শিক্ষার্থীসহ কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কার চারজন বিদেশি শিক্ষার্থী পরিদর্শনে যান। এ সফরটি মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরে তৃতীয় উইন্টার স্কুল ও সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড স্টাডিজের একটি অংশ। দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়াও আমেরিকা এবং আর্জেন্টিনার দুজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশি-বিদেশি নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা তুলে ধরা।’