দিনব্যাপী স্কিলস কম্পিটিশন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
কীভাবে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে বিশাল জাহাজ চালানো যায়, কিংবা কীভাবে রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়—নতুন নতুন সব ভাবনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা পরিকল্পনা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন নতুন উদ্ভাবনী পরিকল্পনা তৈরির লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৬ আয়োজন করে। এ লক্ষ্যেই রাজধানীর পান্থপথে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এনআইইটি) তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী স্কিলস কম্পিটিশন ২০১৬-এর প্রথম পর্বের প্রদর্শনী করে। প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের বিভিন্ন উদ্ভাবনী ভাবনা নিয়ে প্রজেক্ট প্ল্যান তৈরি করে। উত্তরবঙ্গের পানিস্বল্পতা রোধের লক্ষ্যে কীভাবে পানি সংরক্ষণ করে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা যায় তারও একটা পরিকল্পনা প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা করবে বলে মত দেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আজিজ।
বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এনআইইটি প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশ ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্কিলস কম্পিটিশন আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা সর্বমোট ১৮টি প্রজেক্ট প্ল্যান প্রদর্শন করে। এনআইইটিতে প্রদর্শিত সবকটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে সেরা ৩টি পরিকল্পনা নির্বাচন এবং সার্টিফিকেট বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে সর্বমোট ১৬২টি সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ প্রদর্শনী চলবে। যেখান থেকে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩টি করে প্রজেক্ট বেছে নেওয়া হবে প্রতিযোগিতার পরবর্তী ধাপের জন্য। প্রজেক্টগুলো কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্কিলস্ অ্যান্ড ট্রেনিং এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (STEP)-এর নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শন করা হবে। সেখান থেকে নির্বাচিত প্রজেক্টগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কারিগরি অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত স্কিলস কম্পিটিশন-২০১৬-এর চূড়ান্ত প্রদর্শনী।