ফরম বিক্রিতে ঢাবির আয় সাড়ে ৮ কোটি টাকা
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি বাবদ ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৭৭ হাজার ৯০০ টাকা আয় হয়েছে। ৫টি অনুষদে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৯৩টি ভর্তি ফরম বিক্রি করে এ টাকা আয় করা হয়। ৬ হাজার ৯১১টি আসনের বিপরীতে এ ভর্তি ফরম বিক্রি হয়েছে। এছাড়া অনলাইন ও ব্যাংক খরচ বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীকে ৫০ টাকা হারে মূল ফরমের মূল্যের সঙ্গে দিতে হয়েছে মোট ১ কোটি ৪৩ লাখ ২৯ হাজার ৬৫০ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদ সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ১ হাজার ৭৪৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৯০ হাজার ৪২৭ জন। প্রতিটি আবেদনকারীর কাছে ৩০০ টাকা মূল্যের এ ফরম বিক্রি করে অনুষদটির আয় হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ২৮ হাজার ১০০ টাকা।
কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি ফরম বিক্রি করে অনুষদটি আয় করেছে ১ কোটি ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮০০ টাকা। ২ হাজার ২৪১ টি আসনের জন্য ৩০০ টাকা মূল্যের ৩৪ হাজার ৬০৬টি ভর্তি ফরম বিক্রি করে এ টাকা আয় করে অনুষদটি।
এছাড়া, ব্যবসায়ে শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট থেকে ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি করে আয় হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা। ‘গ’ ইউনিটে ১ হাজার ২৫০টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ছিল ৪২ হাজার ১৪৭ জন। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছে ৩০০ টাকা মূল্যের এ ভর্তি ফরম সরবারাহ করে অনুষদটি এ অর্থ আয় করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি ফরম বিক্রি হয়ে থাকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটে। এ বছর অনুষদটি ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি করে আয় করেছে ৩ কোটি ২৭ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ১ হাজার ৫৪০টি (বিজ্ঞানে- ১ হাজার ৯৭টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৩৯০, মানবিকে- ৫৩টি) আসনের জন্য ভর্তিচ্ছুদের কাছে ৩০০ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৯ হাজার ১৭০টি ফরম বিক্রি করে এ টাকা আয় করে অনুষদটি।
এছাড়া সর্বনিম্ন আয় হয়ে থাকে চারুকলা অনুষদের। চলতি বছর চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩০ লাখ ৭২ হাজার ৯০০ টাকা। ১৩৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তিচ্ছুদের কাছে ১০ হাজার ২৪৩টি ফরম বিক্রি করে এ টাকা আয় করে চারুকলা অনুষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা দেখতে অনেক হলেও এ টাকা ভর্তি পরীক্ষার খরচ বহন করতেই চলে যায়। সামান্য যে টাকা অবশিষ্ট থাকে সেটি অনুষদগুলোর উন্নয়নে ব্যয় হয়ে থাকে।