নেতৃত্ব দিতে নেপালে
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশন, নিরাপদ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখছে। আগামীর পৃথিবী নিরাপদ পৃথিবী। সারা বিশ্বকে একটি শান্তির রাজ্যে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ফাদার মুন। যুদ্ধ নয়, সংঘাত নয়; চাই সম্প্রীতির বিশ্ব। জাপান-কোরিয়া সম্প্রীতির স্মারক হিসেবে জীবনসঙ্গী করেছিলেন এক জাপানি নারীকে। যিনি পরবর্তীতে হয়ে উঠেন মাদার মুন। পিস ফেডারেশন দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠা করেছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা প্রতিষ্ঠান। কাজ করছে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায়।
সম্প্রতি ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশন অব নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের জন্য আয়োজন করে ‘রাইজিং ট্রান্সফরমেটিভ ইয়ুথ লিডারস টু সিকিউর আওয়ার ফিউচার’ শীর্ষক সেমিনার। গত ১২-১৫ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুর সিবাম প্লাজায় অনুষ্ঠিত তিনদিনব্যাপী এই সেমিনারে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কার প্রায় ১০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৩০ জন শিক্ষার্থী উড়ে যায় নেপালে। বাংলাদেশের ভোক্তা অধিকার ও খাদ্যে ভেজাল বিরোধী সংগঠন কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ থেকে সেমিনারে অংশগ্রহণ করে ৭ জন প্রতিনিধি। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মওদুদ আহমেদ সুজন, জুবায়ের টিপু, জয়ন্ত কৃষ্ণ জয়। ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিতবাতুল্লাহ, জিয়াউল হক, আসিফ ও সিফাত। জাহাঙ্গীরনগর স্পিকারস ফোরামের পক্ষ থেকেও তিনজন প্রতিনিধি যোগদান করেন। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় তরুণদের সম্পৃক্ত করাই এই সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ লিডারশিপ সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য। সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘নিরাপদ ভবিষ্যত্ বিনির্মাণে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। নৈতিকতাবোধ তরুণদের নেতৃত্ব অর্জনের মাপকাঠি হওয়া উচিত। তরুণ নেতৃত্বকে অবশ্যই সব প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিহার করতে হবে।’
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশন সাউথ এশিয়ান উইংয়ের শিক্ষা পরিচালক রবার্ট স্কিটেল। তিনি মূলত বিশ্ব শান্তি, পরিবারিক বন্ধন, ভালোবাসা ও ধর্মীয় অনুশাসনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। পারিবারিক বন্ধন শান্তি প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তির বাণী নিতে আসা সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা নেপালের অতিথিপরায়ণতা, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে মুগ্ধ হয়েছেন। সেমিনারে শেষ দিন অংশগ্রহণকারীরা ঘুরে আসেন পর্যটন শহর পোখারায়। সেমিনারের শান্তির বাণীর পাশাপাশি তরুণরা দেশে ফিরে নেপালের বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যের স্মৃতি নিয়ে। এই সেমিনার শান্তি ও বিশ্ব বন্ধুত্বের বার্তা বহন করে। তাই একে অপরের দেশ ভাবনা ও নিজ দেশকে উপস্থাপনের সুযোগ হাতছাড়া করেননি কেউ। বিদেশি বন্ধুরা বাংলাদেশকে বারবার মুস্তাফিজ-সাকিবের দেশ বলে সম্বোধন করেছে। সুন্দর পৃথিবী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে জেগে উঠুক তরুণরা, এমন প্রত্যাশা সবার। উল্লেখ্য, একইভাবে ২২-২৬ অক্টোবর কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশন অব বাংলাদেশের সেমিনার।