বাংলাদেশে ক্যাম্পাস স্থাপন করবে মালয়েশিয়া
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ রেটিংধারী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি সেলেঙ্গার (ইউনিসেল) বাংলাদেশে ক্যাম্পাস স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। ক্যাম্পাসটি স্থাপিত হলে প্রতিবছর জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের ৪০ জন শিক্ষার্থীকে মালয়েশিয়াতে ১০০ ভাগ স্কলারশিপ দেবে ইউনিসেল। ১৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে মালয়েশিয়াতে লেখাপড়া করছেন।
মালয়েশিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ উপলক্ষে সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়া হাইকমিশনার মিসেস নূর আসিকিন মোহাম্মদ তাইব বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিশাল দ্বার উম্মোচন করে দেবে। দেশে বসে তারা মালয়েশিয়ার সমমানের শিক্ষা লাভ করতে পারবেন। দু দেশের মধ্যে অনেক কিছুতেই মিল রয়েছে। ভবিষ্যতে শিক্ষার ক্ষেত্রে বিনিময় শুরু হলে উভয়েই লাভবান হবে।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার মানের বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। ইউনিসেলের প্রফেসর ড. মোখতার বিন আবদুল্লাহ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক, রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যানগেজমেন্ট), মালয়েশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে শিক্ষার মান একই থাকবে। সেটি নিশ্চিত করার জন্য সব ব্যবস্থা নেবেন তারা। মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলে ইউনিভার্সিটি সেলেঙ্গারের প্রফেসর ড. মো. নর বিন নাওয়াই, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি ভাইস-চ্যান্সেলর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, প্ল্যানিং অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যানগেজমেন্ট), প্রফেসর ড. মোখতার বিন আবদুল্লাহ, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক, রিসার্চ এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যানগেজমেন্ট) প্রমুখ রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ইনসাইট ইনস্টিটিউট অব লার্নিংয়ের চেয়ারম্যান, ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনসাইট ইনস্টিটিউট অব লার্নিংয়ের ডিরেক্টর (একাডেমিক), অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে মিসেস জায়তুন বিন সোলায়মান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।