করোনা মোকাবিলায় ‘করোনাথন-১৯’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রকোপকে মোকাবিলার জন্য চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদদেরও একটা দায়বদ্ধতা আছে। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি হতে পারে প্রযুক্তিবিদদের অন্যতম একটা হাতিয়ার।
সে লক্ষ্যেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আগামী ২৮-৩০ এপ্রিল, অনলাইনে আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘করোনাথন-১৯’ শীর্ষক হ্যাকাথন। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিজয়ীগণ পুরস্কার হিসেবে পাবেন ২৫০০০ ইউএস ডলার। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র সমূহ (করোনার প্রভাব বিবেচনায়) হচ্ছে- স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য ও পুষ্টি সেবা, শিক্ষাসেবা ও ওপেন বক্স আইডিয়া।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে আয়োজিত অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মডারেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকমর্তা মোহাম্মদ সুরুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন মাল্টিমিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ টেনোলজি বিভাগের প্রধান ড. শেখ মোহাম্মদ আলাইয়ার। বক্তব্য রাখেন এলাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের সহযোগী ডিন অধ্যাপক ড. আবু নাসের জাফরুল্লাহ। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হওয়া অসংখ্য সমস্যার সমাধান শনাক্তকরণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে জরুরি সমস্যাগুলো যথা স্বাস্থ্য, খাদ্য, পুষ্টি ইত্যাদির সমাধান নির্ণয় করা, শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উদ্বুদ্ধ করা এবং বর্তমান সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীগণ যেন তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে, সে লক্ষ্যে তাদের যথাযথ প্ল্যাটফর্ম প্রদান করাই এই ‘করোনাথন-১৯’ এর উদ্দেশ্য।
ছাত্রছাত্রীদের জমা দেয়া প্রোজেক্ট বা সমাধানগুলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সমাদৃত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত সমাধানগুলোকে আরো পরিশালিত করার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আর্থিক অনুদান সহ উন্নত ল্যাব সেবা প্রদান করবে। এআই/এমএল/আইওটি/রোবটিক্স এবং বিগ ডেটা প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা/খাদ্য ও পুষ্টি/শিক্ষা সহ আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর সমাধান বের করে আনাই এই করোনাথন-১৯ এর মূল লক্ষ্য।
আয়োজকরা জানান, ‘ইয়ং মাইন্ডস অলওয়েজ লুকস ফর নিউ সলিউশ্যন্স। আর সে লক্ষ্যেই তরুণ ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগিয়ে এই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানের উপায় উদ্ভাবন করতে চাই। করোনাথন-১৯ হয়তো করোনা নিধনকারী ভ্যাক্সিন সমাজকে উপহার দিতে পারবে না কিন্তু জীবনের জন্য যে প্রযুক্তি এই বিশ্বাসটা সমাজে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে বা বিস্তারিত জানতে ভিজিট: https://coronathon19.daffodilvarsity.edu.bd/