প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে ২০১১-২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি প্রথম মেয়াদে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। গত ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্রে জানানো হয় গণপ্রজানতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদন সাপেক্ষে চার বছরের জন্য তাকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান ১৯৬৭ ঢাকায় আনবিক শক্তি কমিশনের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসাবে কর্মজীবন শূরু করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লায়েড ফিজিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স (বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং) বিভাগ চালু করা হলে তিনি তার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টার (বর্তমানে ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) এর পরিচালক এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন হিসাবে যোগ দেন।
২০০৮ সালে তিনি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন এবং পূনরায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন হিসাবে যোগ দেন।
তিনি ১৯৪৪ সালে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিদ্যায় বি এসসি (অনার্স) এবং ১৯৬৬ সালে এম এসসি পাশ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের লাফবরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এম এসসি এবং ১৯৭৬ সালে পি এইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
শিক্ষা জীবনের সর্বস্তরে তিনি অত্যন্ত মেধার স্বাক্ষর রাখেন। তার রচিত প্রায় দুইশো’র বেশী গবেষনা পত্র ও অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রবন্ধ রয়েছে। তার রচিত কয়েকটি বই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্য পুস্তক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ২০১০-২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ইলক্ট্রনিক্স সোসাইটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।