ড্যাফোডিলের আয়োজনে অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠিত
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সির ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের আয়োজনে ‘শিল্প-প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা ও মহামারিতে মানুষের আচরণ : বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা আজ মঙ্গলবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেইজে লাইভের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় অংশ নেন বিজিএমইএ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, এমপি, ভিয়েতনামের ভিয়েতনাম ইউনিভার্সিটি অব অ্যালায়েন্সের নির্বাহী বোর্ড সদস্য ও এফপিটি এডুকেশন গেøাবালের ডিন ড. কুং হুয়াং, ইন্ডাস্ট্র্রিয়াল ইউনিভার্সিটি অব হো চি মিন সিটির সায়েন্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ড. ড্যাম সাও মাই, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খাদিজা রহমান তাঞ্জি।
সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, এমপি বলেন, অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে হলে আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠাগুলোকে টিকিয়ে রাখতে হবে। এরসঙ্গে আমাদের অর্থনীতি যেমন জড়িত তেমনি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানও জড়িত। ফলে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং অনান্য যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে এই নতুন বাস্তবতাকে মোকাবেলা করতে হবে।
মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, এমপি আরও বলেন, আমরা এক ভীষণ অনিশ্চিত সময় পার করছি। এই সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই মহামারি মোকাবেলা করতে হবে। এসময় তিনি জনগণকে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহŸান জানান।
ড. ড্যাম সাও মাই তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভিয়েতমান সরকার এবং জনগণ সম্মিলিতভাবে এই মহামারি মোকাবেলা করছে। জনগণকে ঘরে রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সমস্ত শপিং মল, বাজার, দোকাট-পাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অনলাইন শপিংয়ের মাধ্যমে কিনছে। কেউ কেউ মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও কেনাকাটা করছে। ভিয়েতনাম সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করেন ড. ড্যাম সাও মাই।
অপরিদেকে ড. কুং হুয়াং বলেন, এক মানুষ থেকে আরেক মানুষের আচরণ ভিন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই সব মানুষ একইসঙ্গে একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এমনটা আশা করা যায় না। তারপরও মানুষকে বোঝানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। ভিয়েতনামে সেটাই করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য ইন্ডাস্ট্রিকে সচল রাখা ছাড়া উপায় নেই। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করবেন তারা যেন সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।