ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভার্চুয়াল অরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভার্চুয়াল অরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফল-২০২০ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ‘ভার্চুয়াল অরিয়েন্টেশন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এ অনলাইন নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। এসময় আরও ঊক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহফুজ আনাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে আইডিয়ার কারখানা। এখানে বিভিন্ন ধরনের আইডিয়ার উদ্ভব ও বিকাশ হয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা ধরনের সমস্যার সমাধান দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এই কোভিড মহামারির সময় সারা পৃথিবী তাকিয়ে আছে অক্সফোর্ডসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। তারা এই সমস্যা সমাধানের চেষ্ট করছে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শুরু করতে যাচ্ছ, তোমরা শুধু দেশের সমস্যা নয়, সারা পৃথিবীর সমস্যা সমাধানে অবদান রাখবে এই প্রত্যাশা করি।

মাহফুজ আনাম আরও বলেন, আমরা এতদিন ধরে যে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলাম, কোভিড এসে তাতে বিরাট ধাক্কা দিয়েছে। কোভিড জানিয়ে দিল, আগামীর ব্যবস্থা হবে টেনোলজি নির্ভর। সুতরাং টেকনোলজির উপর দক্ষতা বাড়াও। ইন্টারনেটের কল্যাণে তোমরা এখন বিশ্ব নাগরিক। সারা পৃথিবীজুড়ে রয়েছে তোমাদের প্রতিযোগী। সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করো।

প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, শেখার কোনো শেষ নেই। জীবনব্যাপী শিখতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমরা মাত্র চার পাঁচ বছর পড়াশোনা করো। এই অল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীকে সামান্যই শেখাতে পারে। তাই শিক্ষার্থীকে সারাজীবন নিজে নিজেই শিখতে হয়। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে স্ব-শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান আরও বলেন, নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই রয়েছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তোমরা জেনে খুশি হবে যে এই করোনার সময়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিনের জন্যও পড়ালেখা বন্ধ থাকেনি। অনলাইনের মাধ্যমে দুটি সেমিস্টার ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তোমরা নিশ্চয় জানো, প্রযুক্তি ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল সবচেয়ে এগিয়ে আছে। এই অগ্রগামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে তিনি অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। অভিভাবকরা তাদের মতামত ব্যাক্ত করেন। এছাড়া বিএলসি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত কুইজ প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়। এতে পুরস্কৃত হোন দুই শিক্ষার্থী—মো. জায়েদ হাসান ও আবু সালেহ মো. জাহিদুল ইসলাম।

Sharing is caring!

Leave a Comment