ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে ‘বিজয়ের চেতনায় তারুণ্য’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের ডিন ও মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহমদ ইসমাইল মোস্তফা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফজলুল হক, শিক্ষার্থী আমেনা দেওয়ান ও তার পিতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন দেওয়ান, শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ও তার পিতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেএম খালিদ বলেন, অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে দেশ পেয়েছি সেই দেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীরদৃঢ় সংকল্প এবং গতিশীল নেতৃত্বে আমরা পদ্মা সেতুর স্বপ্নকে বাস্তবরূপ দিয়েছি, ভবিষ্যতে আরও অর্জন করব তাতে সন্দেহ নেই। এজন্য তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধেও আদর্শিক চেতনায় গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ড্যাফেডিল বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে সম্মানিত করেছে তা সত্যিই প্রসংশনীয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিক্ষার্থীদেরকে এযাবৎ ২৮ কোটি টাকার উপর ওয়েভার প্রদান করেছে যা একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এ পর্যন্ত তারা ৫০০ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বিনামূল্যে পড়িয়েছে এবং বর্তমানে ২২০ জন অধ্যয়নরত। এভাবে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মান জানানোর জন্য তিনি ড্যাফেডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৯ বছর পূর্ণ হলো। এই অল্প সময়ে বাংলাদেশের অর্জন বিস্ময়কর। পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তরুণ প্রজন্ম সুফল ভোগ করছে স্বাধীন বাংলাদেশের। কিন্তু এই প্রজন্মের অনেকেই হয়ত জানে না, কত ত্যাগ, সংগ্রাম, যন্ত্রণা ও বঞ্চনার পথ পাড়ি দিয়ে এই দেশের জন্ম হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে এসব ইতিহাস জানাতে হবে। এসময় তিনি তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক ইতিহাস জানার আহ্বান জানান।

এছাড়াও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৬ই ডিসেম্বর ‘মুক্তির আনন্দে ৪৯ এর ১৬’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কালচারাল ক্লাব। অপরদিকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে একই দিনে ‘তরুণ কণ্ঠে বিজয়ের গান’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

Sharing is caring!

Leave a Comment