ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাতীয় বাজেট পরবর্তী অনলাইন আলোচনা’
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ ও ক্যাম্পাস টিভিতে ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ : বাজেট পরবর্তী অনলাইন আলোচনা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান জোদ্দার। ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।
এ কে আজাদ তার বক্তব্যে বলেন, যেকোনো বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তা বাস্তবায়ন করা। আমাদের এ বছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের একটি বড় পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটি কীভাবে আদায় করা হবে তা নিয়ে সংশিল্প সবাইকেই গভীরভাবে ভাবতে হবে।
এ কে আজাদ আরও বলেন, করোনার এই সময়ে বেকারত্ব বেড়েছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছে। অনেক ছোট ছোট উদ্যোক্তা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এইসব জনগোষ্ঠীকে প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি বাজেটে থাকতে হবে। তা না হলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে হও। উদ্যোক্তা হলে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়। আর উদ্যোক্তা হতে হলে বাজেট সম্পর্কে অবশ্যই পরিষ্কার জ্ঞান রাখতে হবে।
অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই বাজেট আগামী এক বছর আমাদের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করবে। সুতরাং একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেও বাজেট সম্পর্কে জানাটা জরুরি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাজেট সম্পর্কে আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। বাজেট তাদের পাঠ্যসূচির অংশ। এছাড়া যেসব শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হতে চাইবেন তাদেরও বাজেট সম্পর্কে জানতে হবে। বাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না।
মিজানুর রহমান জোদ্দার বলেন, বাজেটের ভালো ও মন্দ দুটি দিকই রয়েছে। কেউ ভালো দিক দেখতে পাবেন কেউ খারাপ দিক দেখতে পাবেন। তবে বাজেটের গঠনমূলক সমালোচনা হওয়া উচিত। এসময় তিনি বলেন, আমাদের দেশে বাজেট বাস্তবায়ন পর্যায়ে এখনো অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বাজেট বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।