ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ‘গ্রাজুয়েশন সেরিমনি ২০২১’ অনুষ্ঠিত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ‘গ্রাজুয়েশন সেরিমনি ২০২১’ অনুষ্ঠিত

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল শিক্ষার্থীদের গ্রাজুয়েশন সেরিমনি আজ শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিয়ারসন ইডিএক্সেল বাংলাদেশ ও নেপালের আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাবস্থাপক আল মামুন বিন কুদ্দুস এবং কেমব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার শাহিন রেজা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ড. মো. মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল শাহানা খান। গ্রাজুয়েশন সেরিমনিতে ৪৫০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময় পার করছি। এই সময়ে সভ্যতার বিকাশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনো কখনো আমাদের জন্য ভালো হলেও চাকরির ক্ষেত্রে বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি শিল্প বিপ্লবই চাকরির ক্ষেত্র সংকুচিত করে এবং নতুন নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মকে ভবিষ্যতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। কারণ ছয় বছর পর পরিস্থিতি এমন থাকবে না। রোবট, ড্রোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি পুরো চাকরির ক্ষেত্রকেই পাল্টে দেবে। প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতিই মানুষের মতো কাজ করবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদেরকে এখন থেকেই প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হওয়া ৭০% শিক্ষার্থীই আসে বিভিন্ন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে। বর্তমান সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তারা এখন বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবে। ইতিমধ্যে অষ্ট্রেলিয়ার বিশ্বখ্যাত মনাশ ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া গ্রিন উইচ ইউনিভার্সিটিও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির মাধ্যমে খুব শিগরিইকাংক্রম শুরু করবে বলেও তিনি জানান। 

গ্রাজুয়েশন সেরিমনি যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠান। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারা আনন্দদায়ক ব্যাপার।

Sharing is caring!

Leave a Comment