কীভাবে বসের বিশ্বাস অর্জন করবেন?
- ক্যারিয়ার ডেস্ক
অফিসে বসের সঙ্গে আপনার বিশ্বস্ততা যত ভালো হবে আপনি ততটাই ভালো কর্মী হয়ে উঠবেন। বসের নজরে বিশ্বাস অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি। তবে তোষামোদ করে নয়, বরং কাজই হচ্ছে এখানে শ্রেষ্ঠতম উপায়। রির্ডাস ডাইজেস্ট ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
কর্মীদের প্রধান কাজ বসের কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। কাজেই বসের কাজের চাপ বেশি হলে সেখানে কী ধরনের অবদান রাখতে পারবেন তা ঠিক করুন। এ ছাড়া কোম্পানির পণ্যের বিক্রি বাড়ানো, মুনাফা বৃদ্ধি এসব নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী তা বসের সঙ্গে আলোচনা করুন। ফলে বস যখন দেখবেন কোম্পানির উন্নতির জন্য আপনি অবদান রাখছেন, তখন আপনার প্রতি তার বিশ্বাসও তৈরি হবে।
২. সাহায্য চাওয়ার আগে নিজেই সমাধান বের করার চেষ্টা করুন
অফিসে কাজের মাঝে ঝামেলায় পড়া নতুন কিছু নয়। তাই কোনো সমস্যা সৃষ্টি হলে সরাসরি বসকে না জানিয়ে নিজেই সমাধান বের করার চেষ্টা করুন। কোনো সমাধান বের করার সময় অনেক কিছু ভাবতে হয় এবং সেখান থেকে উপযুক্ত সমাধান বের করতে হয়। এই অভ্যাসটি আপনাকে আরো স্মার্ট করে তুলবে।
৩. ভুল স্বীকার করা
অনেকেই দোষ কিংবা ভুল করলে তা এড়ানোর জন্য তর্কে লিপ্ত হয় এবং বসের সামনে নিজের দোষ অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়। পরবর্তী সময়ে বস সত্য জানতে পারলে আপনার প্রতি খুব খারাপ ধারণা তৈরি হবে। তাই ভুল স্বীকার করে সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হয়ে থাকুন।
৪. ভুলের পুনরাবৃত্তি না করা
মানুষ মাত্রই ভুল করে। তাই কোনো বস কর্মীদের কাছে নির্ভুল কোনো কিছু আশা করে না। কিন্তু বার বার একই রকম ভুল করলে আপনাকে নিয়ে খারাপ ধারণা বসের মনে জেঁকে বসবে।
৫. আগে ব্যর্থ হয়েছেন এমন অ্যাসাইনমেন্ট নিন
একই প্রজেক্টে এর আগে ভুল করেছেন, পুনরায় সেই প্রজেক্ট হাতে নিন। অনেকেই এমন করতে ভয় পান। আগের ব্যর্থ হওয়া কাজ পুনরায় নতুন উদ্যমে করলে সাফল্য অনিবার্য। এটা আপনার বসকেও আপনার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব এনে দেবে।
৬. ভালো শ্রোতা হোন
বস যখন কথা বলবে তখন ফোন বন্ধ করে তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো শুনুন। তার কথায় এবং কথা বলায় মনোযোগ দিন। এটি কেবল তার প্রতিই নয় বরং প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ নির্দেশ করে।
৭. মতামত দেওয়ার আগে জিজ্ঞেস করুন
বসের কোনো সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যখন বলতে যাবেন তখন বিনয়ের সঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করুন। তিনি অনুমতি দিলেই শুধু তা বলবেন। অনেক সময় তিনি খুব খুশি হবেন ভিন্ন মতামত পেলে। কিন্তু যেটাই বলুন, না জেনে বা বুঝে বলবেন না।