হাবিব ও তার বন্ধুদের ‘ওয়াইশমা’
- উদ্যোক্তা ডেস্ক
হুজুগে বাঙালি প্রথমে অনেক কিছুই শুরু করে কিন্তু লেগে থাকে না, তার একটা বড় উদাহরণ হতে পারত ‘ওয়াইশমা’, কিন্তু হয়নি শেষ পর্যন্ত। হাবিব যেই ৫ জন বন্ধুকে নিয়ে শুরু করেছিলেন ‘ওয়াইশমা’ সময়ের প্রয়োজনে একেকজন একেক দিকে হারিয়ে যান, শুধু হাবিব এবং তার বন্ধু ইয়াকিনী ধরে রাখেন তাদের ব্যবসা। মূলত, ইয়াকিনীর মাথায়ই প্রথম এই কাজ শুরুর আইডিয়া আসে। বন্ধুর আইডিয়া থেকেই হাবিব শুরু করেন কাজ। অন্যের দ্বারে দ্বারে কর্মসংস্থানের জন্য ধর্না না দিয়ে নিজেই নিজের সুযোগ তৈরি করে ফেললে কেমন হয়—এই চিন্তা থেকেই ২০১৪ সালে ওয়াইশমার পথচলা শুরু।
ওয়াইশমা, তরুণ সমাজের কাছে তুমুল জনপ্রিয় একটি অনলাইন ক্লথিং স্টোর। ক্লথিং স্টোর তো হাজার আছে এখন ফেসবুকে, টি-শার্ট স্টোরও কম নেই, তাহলে ওয়াইশমা কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা? আর দশজনের মতো টি-শার্ট ডিজাইন না করে ডিজাইনে এক বিশাল নতুনত্ব নিয়ে আসেন তারা। প্রথমদিকে বাইরে থেকে টি-শার্ট কিনে সেখানে বিভিন্ন ডিজাইন ও চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রের ছবি প্রিন্ট করে বিক্রি করতে শুরু করেন ওয়াইশমা। অন্য সবাই যেখানে সাধারণ ছবি অথবা লেখা দিয়ে টি-শার্ট বের করে, সেখানে তারা তরুণ সমাজের কাছে জনপ্রিয় সমসাময়িক সব সিরিজের চরিত্র এবং বাণী সংবলিত টি-শার্ট তৈরি শুরু করেন। আর মূলত এটাই তাদেরকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। প্রায় এক বছরের মাথায় ২০১৫ সালে তারা নিজেদের কারখানায় পোশাক তৈরি শুরু করে দেন।
হাবিব আহমেদ পড়ছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইপিই (শিল্প ও উত্পাদন প্রকৌশল) বিভাগে আর তার আরেক পার্টনার আহমেদ আবরার ইয়াকিনী পড়ছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইভেন্ট, যেমন বিদায় অনুষ্ঠান, নবীনবরণ ইত্যাদির জন্য তারা টি-শার্টের কাজ করে থাকেন। বর্তমানে উত্তরায় ওয়াইশমার একটি অফিস ও ফ্যাক্টরি রয়েছে। অন্যের কাছে চাকরি না করে, নিজের উদ্যোগে বহুদূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন হাবিব, আর সেই স্বপ্ন পূরণ করার পিছনেই ছুটছেন তিনি অবিরত।