অনুপ্রেরণার আরেক নাম ‘মাহিনুর’

অনুপ্রেরণার আরেক নাম ‘মাহিনুর’

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি বেকার সমস্যা এবং এর মধ্যে ৪৭% শিক্ষিত বেকার। আর এই বেকারমুক্ত রাষ্ট্র গড়তে ‘উদ্যোক্তাগিরি’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করছেন তরুণ উদ্যোক্তা রন মাহিনুর। সম্প্রতি তিনি পেয়েছেন বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন শত শত তরুণ। তাই বন্ধুরা বলেন, অনুপ্রেরণার আরেক নাম মাহিনুর।

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের ছেলে মাহিনুর। সরকারি চাকরিজীবী বাবা মোস্তফা আলম এবং গৃহিণী মা রীনা আক্তারের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট মাহিনুর। বড়বোন মুশফিকা আলম একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তরুণ এই উদ্যোক্তা রন মাহিনুর নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম মোঃ মাহিনুর আলম। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা রনি নামেই বেশি ডাকেন। ২০০৭ সালে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে পাস এইচএসসি করেন তিনি। তারপর ২০১০ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এর ১ম ব্যাচে ভর্তি হয়ে বিএসসি ইন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ালেখা করেন। ছাত্রাবস্থাতেই উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থেকেই হয়ে ওঠেন একজন তরুণ উদ্যোক্তা।

২০১২ সালের পহেলা মার্চ প্রথম উদ্যোগ হিসেবে সুপার সফট আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে কর্মজীবনে পথ চলা শুরু হয় মাহিনুরের। তবে সেই যাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। এরপর আরো কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সফলতার সাথে সেখানে ব্যর্থতাও থাকে। উদ্যোগগুলোর মধ্যে হোষ্টিং প্রতিষ্ঠান হোষ্টবক্স, স্পোর্টিফাই, টিমবক্সারসহ প্রায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় উদোক্তাগিরির সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম।

মাহিনুর বলেন, ‘আমি “আর্ট অব লিভিং” নামে একটি বই পড়েছিলাম, সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আর্ট বা বিষয় জানতে পারি। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি আর্ট নিয়ে আমি একটি ফর্মুলা তৈরি করি যেটাকে আবার “থ্রি এল’স অব আর্ট অব লিভিং” বলে সম্বোধন করি। একটা হচ্ছে, অতীতকে ত্যাগ করা, দ্বিতীয়টা বর্তমানে বাস করা এবং তৃতীয়টা ভবিষ্যৎকে আলোকিত করা। আমি এই “থ্রি এল’স অব আর্ট অব লিভিং” থিওরির অনুসারী। চাইলে যে কেউ এই থিওরি অনুসরণ করতে পারেন এতে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলের সাথে জীবনও বদলে যাবে।

Sharing is caring!

Leave a Comment