অ্যাপে খুঁজুন গৃহশিক্ষক

অ্যাপে খুঁজুন গৃহশিক্ষক

  • ইমরান হোসেন মিলন

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ছোট দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করেন মোহাম্মদ সালমান। পাশাপাশি ইউনিলিভার ও ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোর মতো প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন এই উদ্যোক্তা।

দীর্ঘদিন চাকরির পর স্বাধীনভাবে কিছু করার তাগিদ থেকে ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে পুরোদমে উদ্যোক্তা হতে প্রথমে বনানীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ট্রি হাউস রেস্টুরেন্ট’। এই ব্যবসায় সফল হওয়ার পর তিনি আরেকটি নতুন রেস্তোরাঁ না দিয়ে জমানো টাকায় শুরু করেছেন অনলাইনভিত্তিক শিক্ষক খোঁজার প্ল্যাটফর্ম ‘ইয়োডা’।

ইয়োডাই বা কেন

প্রশ্নটা মনে আসা খুবই স্বাভাবিক—কেন এই ইয়োডা প্ল্যাটফর্ম? মোহাম্মদ সালমান বলেন, ‘আমরা সবার আগে দুই তরফেই নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজটি করি। কারণ, প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো ধরনের জালিয়াতি, প্রতারণা বা হয়রানি করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করি।

এ জন্য ইয়োডায় যখন কোনো শিক্ষার্থী গৃহশিক্ষক হিসেবে আবেদন করেন, তখন তাঁর পুরো ব্যাকগ্রাউন্ড ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করা হয়। এরপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ করে তাঁকে নিবন্ধন করে চূড়ান্ত করা হয়।

অন্যদিকে কোনো মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের জন্য গৃহশিক্ষক চাইলে প্রথমে ফোনে সেটি কনফার্ম করা হয়। এরপর তাঁদের বাসার ঠিকানা থেকে শুরু করে অন্যান্য তথ্য যাচাই করতে যা যা প্রয়োজন সেসব করা হয়। পরে টিউটরের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়।

করতে হবে নিবন্ধন

নতুন কোনো গৃহশিক্ষক খুঁজতে চাইলে ইয়োডার ওয়েবসাইট (https://yodabd.com/) এবং (https://urlzs.com/gckbS) অ্যাকাউন্ট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনি সহজেই নিজের সন্তানের জন্য পছন্দের শিক্ষক খুঁজে পাবেন। এখানে শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অনেক ধাপ পার করতে হয়। আর ইয়োডায় নিবন্ধন করা যায় বিনা মূল্যে।

ইয়োডা অ্যাপ ও ওয়েবসাইট

গুগলের প্লে স্টোরে রয়েছে ইয়োডার অ্যানড্রয়েড অ্যাপ। এ ছাড়া আইওএস সংস্করণে অ্যাপটি খুব শিগগির অ্যাপ স্টোরে উন্মোচন করবে প্রতিষ্ঠানটি। সালমান জানান, চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপটিও হালনাগাদ করা হচ্ছে। অ্যাপের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটও রয়েছে। মোবাইলে যেন খুব সহজেই ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায়, সে জন্য কাস্টমাইজ সংস্করণও রয়েছে তাঁদের।

আসছে নতুন সব ফিচার

সব মিলিয়ে এখন ১৭ জনের একটি দল কাজ করছে ইয়োডায়। সালমান নিজে ব্যবসা অনুষদের ছাত্র হওয়ায় শুরুতে তিনি একটু ঝামেলায় পড়েছিলেন ইয়োডার প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে। কাজটিকে সহজ করেছেন ইয়োডার প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা রিফাত বিন রেজা। তাঁর তত্ত্বাবধানে ইয়োডায় শিক্ষক খোঁজার পাশাপাশি একটি হোয়াইট বোর্ড ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অডিও ভিজুয়্যাল ইফেক্টসহ পুরো সেশন রেকর্ড করে রাখা যাবে। এটি মূলত দেশের ই-লার্নিংয়ে নতুন সংযোজন। অর্থাৎ কোনো শিক্ষক সরাসরি শিক্ষার্থীকে পড়াতে বাসায় আসতে না পারলেও এই ফিচারের মাধ্যমে অনায়াসে পড়াতে পারবেন। ইয়োডা টিমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মহীউদ্দিন কাজী বলেন, ‘এই সেবার মাধ্যমে আগামী দিনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের নিয়েও কাজ করতে চায় ইয়োডা।’

ভবিষ্যতে

আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর এখনো এক বছর পূর্ণ হয়নি ইয়োডার। শুরুতে শুধু ঢাকায় কাজ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। তবে ভবিষ্যতে সমগ্র বাংলাদেশে শিক্ষা বিস্তারে ইয়োডার পরিকল্পনা রয়েছে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

Sharing is caring!

Leave a Comment