অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতির ডাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের
নিউজ ডেস্ক : বেতন কাঠামোর বৈষম্য নিরসনের দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আজ (২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাকসুদ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরুর আগে ৩ জানুয়ারি শিক্ষকরা কালো ব্যাজ পরে ক্লাসে যাবেন এবং ৭ জানুয়ারি তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবেন।
শিক্ষকদের বিরোধিতার মধ্যে সরকার অষ্টম বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দাবি আদায়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির হুমকি দিয়েছিল।
অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষকরা। এরপর সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তার ১০ দিন পর বেতন কাঠামোর গেজেটে তার মধ্যে প্রথম দুটির প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।
শিক্ষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, যে তিনটি দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি অর্থমন্ত্রী দিয়েছিলেন, সেগুলো হচ্ছে- অষ্টম বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সপ্তম জাতীয় বেতন কাঠামোর অনুরূপ সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল থাকবে এবং এক্ষেত্রে সপ্তম বেতন স্কেলে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা কমানো হবে না; জ্যেষ্ঠ সচিবদের জন্য সৃষ্টি করা সুপার গ্রেডে সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের একটি অংশকে শতকরা হারে উন্নীত করার বিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন সপ্তম গ্রেডে সম্ভব না হলে অষ্টম গ্রেড থেকে শুরু করা হবে।
কিন্তু প্রজ্ঞাপনে প্রথম দুটি দাবির প্রতিফলন না ঘটায় সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে অষ্টম বেতন কাঠামো সংশোধনের পর আবার গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
তবে তৃতীয় প্রতিশ্রুতিটি পূরণ করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন শিক্ষকরা।