সাহসী সাংবাদিকদের জন্য চালু হচ্ছে ‘তালহা স্মৃতি সাহসীকতা পুরস্কার’

সাহসী সাংবাদিকদের জন্য চালু হচ্ছে ‘তালহা স্মৃতি সাহসীকতা পুরস্কার’

  • সংবাদ ডেস্ক

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জিং ও সাহসিকতাপূর্ণ  সাংবাদিকতাকে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক) উৎসাহিত ও  অনুপ্রাণিত করতে খন্দকার আবু তালহা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ যৌথভাবে এ বছর থেকে প্রবর্তন করতে যাচ্ছে  ‘খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসিকতা পুরস্কার’। গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারের বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব-উল-হক মজুমদার, খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত তালহার বাবা আবু রিয়াজ মো. নূরুদ্দিন খন্দকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সেলিম আহমেদ এবং ঊর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক জনসংযোগ বিভাগের মো. আনোয়ার হাবিব কাজল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন থেকে প্রতি বছর চ্যালেঞ্জিং ও সাহসিকতাপূর্ণ সাংবাদিকতার (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক) স্বীকৃতি স্বরূপ একজন সাংবাদিককে ‘খন্দকার আবু তালহা স্মৃতি সাহসীকতা পুরস্কার’ প্রদান করা হবে যার আর্থিক মূল্য হবে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং সাথে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট।

আগ্রহী সাংবাদিকগণ ই-মেইলে অথবা সরাসরি হার্ড কপি বা সফট কপি জমা দিয়ে এ পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ই-মেইল ঠিকানা rashedul.jmc@diu.edu.bd. এবং বিষয় হবে: Khondoker Abu Talha Memorial Courage Award’। আর হার্ড কপি ড্যাফোডিল  ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে (পঞ্চম তলা, ৪/২, সোবহানবাগ, মিরপুর রোড, ধানমন্ডি , ঢাকা) সরাসরি  জমা দেয়া যাবে দেশ বরেণ্য বিশেষজ্ঞ জুরি বোর্ডের রায়ে সেরা মনোনীত সাংবাদিককে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর রাজধানীর টীকাটূলীর বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে কে এম দাস লেণে ছিনতাইকারীদেও হাত থেকে এক স্কুল শিক্ষিকাকে বাচাঁতে গিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে প্রকাশ্য দিবালোকে নিহত হন খন্দকার আবু তালহা। তার এ বীরোচিত আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতেই খন্দকার আবু তালহা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ যৌথভাবে এ বছর থেকে এ পুরস্কার প্রবর্তন করতে যাচ্ছে।

Sharing is caring!

Leave a Comment