মস্তিষ্কের রোগ সারাবে এলন মাস্কের ‘ব্রেইন চিপ’

মস্তিষ্কের রোগ সারাবে এলন মাস্কের ‘ব্রেইন চিপ’

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী এলন মাস্ক সর্বশেষ ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স’ সংক্রান্ত পডকাস্টে মুখোমুখি হয়েছিলেন লেক্স ফ্রিডম্যানের। ফ্রিডম্যানের এক প্রশ্নের জবাবে এলন মাস্ক বলেন, তাঁর স্নায়ু-প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘নিউরালিংক’-এর প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে এমন একটি চিপ আবিষ্কার করা, যেটি মানুষের মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করা যাবে। আর এই চিপ মানুষকে মুক্তি দেবে অটিজম সিজোফ্রেনিয়া ও স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ বিভিন্ন মানব মস্তিষ্কের রোগ থেকে।

মাস্ক বলেন, স্মৃতি ভুলে যাওয়া দিনকে দিন একটি সাধারণ রোগে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে, বৃদ্ধ পিতা-মাতা তাদের সন্তানের নাম ভুলে যাচ্ছেন! এটি বেদনাদায়ক। তাই আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন একটি চিপ তৈরি করতে যাচ্ছি যেটি বয়ষ্ক মানুষদের স্মৃতি ভুলে যাওয়া কিছুটা হলেও কমাবে।

তবে অটিজম রোধে কীভাবে এই ব্রেইন চিপ কাজ করবে সে ব্যাপারে অবশ্য পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মাস্ক। কারণ অটিজম কোনো রোগ নয়, এটি মানবশিশুর বেড়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের বিপর্যয়। যুক্তরাজ্যের জাতীয় অটিস্টিক সোসাইটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, অটিজম কোনো অসুস্থতা বা রোগ নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্যও নয়। মানুষ প্রায়ই মনে করে যে, অস্টিটিক বুঝি এক ধরনের পরিচয়!

অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিজোফ্রেনিয়ার নাম দিয়েছে ‘মারাত্মক মানসিক ব্যাধি’।

নিউরালিংক প্রকাশিত ব্রেইন চিপের ডিজাইন। ছবি : বিজনেস ইনসাইডার

সে যাইহোক, এলন মাস্ক নিউরালিংক প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৬ সালে। প্রথম কয়েক বছর প্রতিষ্ঠানটি আলোচনার অন্তরালেই ছিল। এ বছর নিউরালিংক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গত জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠানটি একটি সাদা কগজের ওপর আঁকা একটি ব্রেইন চিপের ছবি প্রকাশ করে। তারপরই এলন মাস্ক ঘোষণা দেন যে, তারা এটি পরীক্ষামূলকভাবে একটি বানরের মস্তিকে প্রতিস্থাপন করবেন। মাস্ক বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি স্নায়ুবিক রোগ যেমন আলঝেইমার, পারকিনসন ইত্যাদির চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কডের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে মাস্ক চান, এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আর মানবচেতনা একসঙ্গে একীভূত হোক।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

ইংরেজি থেকে অনুবাদ: মারুফ ইসলাম

Sharing is caring!

Leave a Comment