বিজ্ঞান গবেষণায় তরুণদের উৎসাহ দিতে হবে

বিজ্ঞান গবেষণায় তরুণদের উৎসাহ দিতে হবে

  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক

বিজ্ঞান গবেষণায় আগ্রহী করতে তরুণ বিজ্ঞানীদের আরও উৎসাহ ও স্বীকৃতি দিতে হবে। ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। মুখস্থবিদ্যায় জোর না দিয়ে ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখার ওপর জোর দিতে হবে।

গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে তরুণ বিজ্ঞানীদের এক সম্মেলনে প্রবীণ বিজ্ঞান-গবেষকেরা এ কথা বলেন। গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হলে তরুণ গবেষকেরা আরও মৌলিক বিষয়ে গবেষণায় আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন প্রবীণ গবেষকেরা।

তিন দিনের এই আয়োজনে দুই শতাধিক তরুণ বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করছেন, যাঁদের বয়স ৪০-এর নিচে। গতকাল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ছিল আমন্ত্রিত গবেষকদের উপস্থাপনা। সারা দিন দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানীরা ক্যানসার, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, ন্যানো-প্রযুক্তি, জেনেটিক্যালি মডিফায়েড শস্য, মানসম্মত বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাতটি উপস্থাপনা দেন। ছুটির দিন হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীও এসেছিলেন সম্মেলনে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতিন বাশারাত তাঁর চার সহপাঠীকে নিয়ে এসেছিলেন সম্মেলনে। তিনি বললেন, ‘আমাদের পদার্থবিজ্ঞানে আগ্রহ, তাই আসা। মাস্টার্সে থিসিস গবেষণার বিষয় কী নেব, তার ধারণা পেতে এখানে এসেছি। অনেক কিছু শিখলাম।’ একই বিভাগের নাফিসা আলম বলেন, ন্যানো-টেকনোলজি ও জীববিজ্ঞানে তাঁর আগ্রহ। ছুটির দিনে বাসায় বসে না থেকে তাই এখানে আসা।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন বললেন, এই আয়োজনে বড় বিজ্ঞানী ও শিক্ষকদের সামনে উপস্থাপনা করে তিনি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন।

এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলোসহ ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান থেকে আটজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী উপস্থিত ছিলেন। এতে ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল জেনোমিকসের পরিচালক পার্থ পি মজুমদার জীববিদ্যার সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন। তিনি বলেন, ‘এ দেশেও ভালো কাজ হচ্ছে। গতকাল দুজন শিক্ষার্থীকে বিশ্বমানের দুটি গবেষণা উপস্থাপনা করতে দেখেছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক হাসিনা খান বলেন, ‘আমাদের দেশে মৌলিক গবেষণায় তরুণদের উৎসাহ দেওয়া হয় না, স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।’ সম্মিলনে অধ্যাপক আতিক রহমান পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হলে সবার আগে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। মুখস্থবিদ্যায় জোর না দিয়ে ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে হাতে-কলমে বিজ্ঞানশিক্ষাকে গুরুত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক অধ্যাপক এম শমসের আলী।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও গবেষক অধ্যাপক ভি কৃষ্ণনান।

তিন দিনের এই আয়োজন আজ শনিবার শেষ হবে। আজ সকাল নয়টা থেকে শুরু হবে নারী বিজ্ঞানীদের ক্ষমতায়ন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে দিনব্যাপী গবেষণা উপস্থাপন ও আলোচনা।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment