নয় বছরেই অ্যাপ ডেভেলপার !

নয় বছরেই অ্যাপ ডেভেলপার !

  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক

নয় বছরের বিস্ময় বালিকা আনভিদা ভিজয় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো অ্যাপলের বার্ষিক কনফারেন্সে সবচেয়ে কম বয়সী অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে হইচই ফেলে দিয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভিজয় অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ও মেলবোর্নের মাউন্ট ভিউ প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রী।

নিজের ছোট বোনকে প্রাণিজগৎ চেনাতে গিয়ে একটা অ্যাপ বানায়, যেটাতে সে খেলার মাধ্যমে বিবিধ প্রাণী চিনতে পারে। এরপর সে তার ছোট বোনকে রঙ চেনাতেও একটা অ্যাপ বানায়, সাত বছর থেকে কোডিং শুরু করা ভিজয় বিবিধ অনলাইন ইউটিউব টিউটিরিয়াল দেখে অ্যাপস বানানো শিখেছে। অ্যাপেলের এই কনফারেন্সে ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রী ও ১২৫ জন ডেভেলপার স্কলারশিপের মাধ্যমে কনফারেন্সে সুযোগ পেয়েছে। ভিজয়, বাচ্চাদের কোডিংয়ের জন্য একটা বড় অনুপ্রেরণা। কোডিং অনেক চ্যালেঞ্জিং কিন্তু আমি খুব খুশি যে এটা ধরে রাখতে পেরেছি, জানিয়েছে ভিজয়।

ছোট বোনের জন্য বানানো অ্যাপসটিতে ১০০ বিবিধ প্রাণীর নাম শুনতে পারবে ও দেখতে পারবে বাচ্চারা। এটি বানানোর জন্য সে অ্যাপসটিতে সাউন্ড সিস্টেম ও প্রাণীদের ছবির ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করেছে, প্রথমে তার অ্যাপটি ফটোশপে প্রটোটাইপ করে তা ডিজাইন অ্যাপ স্কেচ দিয়ে ইন্টারফেস বানিয়েছে। পরে এক্স কোড অ্যাপেলের আইওএস ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্টে কোডিং করেছে। ওর আরেকটি অ্যাপসেও একইভাবে সাউন্ড ও ফ্ল্যাশকার্ডের মাধ্যমে যেখানেও সে রঙের নাম ও রঙটি দেখানোর ব্যবস্থা করে।

তার পরবর্তী প্রজেক্টের নাম গোলহি, যেটা ছাত্রছাত্রীদের কনফারেন্সে তাদের কনফিডেন্স বাড়াতে সাহায্য করবে। এই অ্যাপটিতে সে সুইফট প্লে গ্রাউন্ড ব্যবহার করছে। সে এই অ্যাপগুলোকে এখন আইপেডেও যেন খেলা যায় তার জন্য কোডিং করছে। ভিজয়ের স্বপ্ন, এই কনফারেন্সের মাধ্যমে টিম ককের সঙ্গে দেখা করবে, যাকে দেখে সে অ্যাপস বানানোর অনুপ্রেরণা পেয়েছে।

এই কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এই প্রোগ্রামের অংশগ্রহণকারীরা পরবর্তীকালে আরও হইচই ফেলবেনfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment